বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই জয় তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই জয় তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারই প্রথম অংশগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাও আবার স্বাগতিক দেশ তারা। আর প্রথমবার বিশ্বকাপে এসেই চমক দিয়েছে দলটি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছিল কানাডা। ডালাসে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ পায় কানাডা। নির্ধারিত ২০ ওভারে নাভনিত ধালিয়াল ও নিকোলাস কিরটোনের হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বিশাল পুঁজি পায় দলটি। তবে ১৯৫ রানের এই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। অ্যারন জোন্সের বিধ্বংসী ইনিংসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৪০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যারন জোন্স। আন্দ্রেস গোসের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৬৫ রান।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি স্বাগতিকদের। শুরুটা ছিল একেবারেই হতাশার। স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা না হতেই উইকেট হারিয়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। কালিম সানার বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে শূন্য রানেই সজঘরে ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনার স্টেভেন টেইলর। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আন্দ্রেস গোসের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মোনাক প্যাটেল। দিলন হেইলিগারের বলে শ্রেয়স মোভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মোনাক প্যাটেল। ৩৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ৪২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে যখন বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র, তখন দলের হাল ধরেন আন্দ্রেস গোস এবং অ্যারন জোন্স।
দুজনে মিলে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে সাজঘরে ফেরেন আন্দ্রেস গোস। নিখিল দত্তের বল তুলে মারতে গিয়ে অ্যারন জনসনের হাতে লং অনে ধরা পড়েন এই আন্দ্রেস গোস। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৬৫ রান। দুই দেশের হয়েই বিশ^কাপ খেলার রেকর্ড গড়লেন কোরি অ্যান্ডারসন। সেই কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়েই জয়ের বাকি আনুষ্ঠিকতা শেষ করেন অ্যারন জোন্স। শেষ বলে ছক্কা মেরে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার হয়ে দিলন হেইলিগার, কালিম সানা ও নিখিল দত্ত একটি করে উইকেট নেন।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় কানাডা। দলটির দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ধালিয়াল মিলে প্রথম পাঁচ ওভারে এনে দেন ৪৩ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়ে উইকেটের দেখা পায় যুক্তরাষ্ট্র। হারম্রিত সিংয়ের বলে শরীরের ভারসম্য হারিয়ে খেলা শটে নিতিশ কুমারের হাতে ক্যাচ দেন জনসন। ১৬ বলে ৫ চারে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি প্রাগাত সিং। ৭ বলে ৫ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ব্যাটার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ধালিয়ালের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন নিকোলাস কিরটোন। ৩৭ বলে দুজনের ৬২ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ১৫তম ওভারে নিজের প্রথম বলেই ওপেনার ধালিয়ালকে সাজঘরে ফেরান কোরি অ্যান্ডারসন। অ্যান্ডারসনের বলে কিছুটা আগে শট খেলে ফেলায় লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬১ রান।
অ্যান্ডারসনের এনে দেয়া এই উইকেটের পরই রানের গতি কমে যায় কানাডার। এর মধ্যে আলি খানের বলে অ্যান্ডারসনের হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কিরটোন। ৩১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রান করেন কিরটোন। শেষদিকে আবার দলটিকে আশা জোগাচ্ছিলেন দিলপ্রিত বাজওয়া। অ্যান্ডারসনের করা ১৯তম ওভারে একটি চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলেই রান আউট হয়ে যান ৫ বলে ১১ রান করা বাজওয়া। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আলি খান, হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন নেন একটি করে উইকেট।