এশিয়া কাপের ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারানোর লক্ষ্যে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৩৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
এই রানটাও হতো না যদি শেষ দিকে অপরাজিত ৮৬ রানের জুটিটা না গড়তেন জাকের আলি অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। জাকেরের ৪১ রানের বিপরীতে ৪২ রান অপরাজিত থাকেন শামীম। বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার শামীম। অন্যথা, এক শ রান হতো কি না তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
কেননা ইনিংসের শুরুতেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই দুই ওপেনার ডাক মেরে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। তানজিদ হাসান তামিমের ৬ বলের বিপরীতে ৪ বলে কোনো রানই করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন।
দুজন ডাক মেরে বিদায় নেওয়ায় প্রথম দুই ওভারের একটি করে উইকেট মেডেন নেন নুয়ান তুষারা ও দুষ্মন্ত চামিরা।
দলীয় স্কোর ১১ রান হতেই আবার ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। ‘জীবন’ পাওয়ার ফিরতি বলে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ৮ রান করা হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছিলেন শেখ মেহেদী ও লিটন দাস।
তবে দুজনকে পর পর দুই ওভারে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন ৮ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। লিটনের ২৮ রানের বিপরীতে ৯ রান করেন মেহেদী।
তাদের বিদায়ের পর জাকের-শামীমের সেই জুটি। ষষ্ঠ উইকেট তারা না দাঁড়ালে ১৩৯ রানের স্কোর পেত না বাংলাদেশ।
অথচ জয়ের সুখ স্মৃতি নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই স্মৃতি আজ আবুধাবির ম্যাচের শুরুতে দেখা যায়নি। উল্টো প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের স্মৃতি আজ যেন বুমেরাং হয়েছে।



