ছবি - জয় নিশ্চিত করে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লাস
ওভাল টেস্ট ছিল ইংল্যান্ডের হাতে। শেষ দিন ৩৫ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। হাতে ছিল ৪ উইকেট। এর মধ্যে ইনফর্ম জেমি স্মিথ ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু দিনের শুরুতেই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে ভারত। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত বোলিংয়ে তুলে নিয়েছে জয়। এই জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করেছে টেস্টের নতুন অধিনায়ক শুভমান গিলের ভারত।
প্রথম ইনিংসে অল্প রানের লড়াই: লন্ডনে সিরিজের শেষ টেস্টে টস হেরে ব্যাট করে ভারত প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার করুন নায়ার সর্বাধিক ৫৭ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৪৭ রানে অলআউট হয়। তারা ২৩ রানের লিড পায়।
ওই ইনিংসে ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেট ৪৩ এবং পাঁচে নামা হ্যারি ব্রুক ৫৩ রান করেন। প্রথম ইনিংসে গাস আটকিনসন ৫টি এবং জস টঙ নেন ৩ উইকেট। ভারতের সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৪টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস চলাকালে কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দাপুটে ব্যাটিং : সময় গড়াতে ব্যাটিংবান্ধব হওয়া ইংল্যান্ডের উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৩৯৬ রান তুলে অলআউট হয়। দলটির হয়ে ওপেনার জশস্বী জয়সোয়াল ১৬৪ বলে ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১৪টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি।
এছাড়া নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে আকাশ দীপ ৬৬ রান যোগ করেন। রবীন্দ্র জাদেজা কার্যকরী ৫৩, ধ্রুব জুরেল ৩৪ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৫৩ রান যোগ করেন। লিড শোধ করে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে ৩৭৪ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত।
ইংল্যান্ডের পাল্টা জবাব : রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড বড় লক্ষ্য সহজ বানিয়ে ফেলে। ওপেনার বেন ডাকেট ৫৪ রান করেন। চারে নামা জো রুট ১৫২ বলে ১০৫ রান করেন। হ্যারি ব্রুক ৯৮ বলে ১১১ রান করেন। ম্যাচ হাতে এনে ৩৬ রানের ব্যবধানে ব্রুক, জ্যাকব বেথেল ও রুট আউট হন। বৃষ্টির কারণে আগেভাগে দিনের খেলা শেষ হওয়ায় ভারত অলৌকিক কিছুর আশা দেখায়। শেষ দিন সকালে উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথ (২) সাজঘরে ফেরেন। পরেই আউট হন জেমি ওভারটন (৯) ও জস টঙ (০)।
ভাঙা হাতে ক্রিস ওকসের মাঠে নামা : জয়ের সুযোগ দেখে ভাঙা কাঁধ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস। ব্যান্ডেজ দিয়ে এক হাত তার ঝুলানো। সোয়েটারে ওই হাত মুড়ে ক্রিজে আসেন। অন্য প্রান্তের গাস আটকিনসন নন স্ট্রাইক প্রান্তে ওকসকে রেখে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। একটি ছক্কাও মারেন। সিরাজ তাকে বোল্ড করে দলকে ম্যাচ জেতান। লর্ডসে বোল্ড হয়ে ম্যাচ হারের ক্ষতে প্রলেপ দেন ডানহাতি পেসার। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি ও কৃষ্ণা তুলে নেন ৪ উইকেট।



