ছবি - টিম রবিনসন ও বেভন জ্যাকবস
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ১০ ওভারও শেষ হয়নি তখন। এর মধ্যেই ৭০ রানে ৫ উইকেট নেই। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এমন দুর্দশার মধ্যেই জুটি বাঁধেন টিম রবিনসন ও বেভন জ্যাকবস। এরপর নিউজিল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটের এই জুটিই ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড়। অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটি শুধু কিউদের সংগ্রহই বড় করেনি, গড়ে দিয়েছে লড়াইয়ের জোরালো ভিত্তিও।
যা কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের তোলা ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়াদের ইনিংস থেমেছে ১৫২ রানে। ২১ রানের জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড।
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়ায় শুরুটা করেছে ভালোই। লুয়ান প্রিটোরিয়াস ও রিজা হেনড্রিকস প্রথম তিন ওভারেই যোগ করেছেন ৩০ রান। তবে চতুর্থ ওভারে ম্যাট হেনরির বলে প্রিটোরিয়াস (১৭ বলে ২৭) আউট হতেই খেই হারাতে শুরু করে দলটি।
জ্যাকব ডাফি ও ইশ সোধির বলে লাগাতার উইকেট দিয়ে স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৫ উইকেটে ৬২ রানে। ষষ্ঠ উইকেটে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও জর্জ লিন্ডে মিলে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। তবে হেনরি এসে ব্রেভিসকে (১৮ বলে ৩৫) ফিরিয়ে দিলে এরপর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেট জুটিই ছিল সর্বোচ্চ।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ডও সবচেয়ে বেশি রান পেয়েছে ষষ্ঠ উইকেট থেকে। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে জিমি নিশাম যখন আউট হন, তখনো ইনিংসের বাকি সাড়ে দশ ওভার। সেই পরিস্থিতি থেকে জ্যাকবসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন রবিনসন।
তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান ৫৭ বল খেলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জ্যাকবসও তাল মিলিয়ে রান তুলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নিউজিল্যান্ডের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ১ চার ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে।
রবিনসন ও জ্যাকবসের অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে নিউজিল্যান্ড পায় ১০৩ রান। শেষ পর্যন্ত এই রানই গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য।
সিরিজের পরের ম্যাচ শুক্রবার, স্বাগতিকদের জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।



