পরিবেশ ভাবনা শীর্ষক সংলাপ
বিগত সরকার উন্নয়নের নামে পরিবেশকে ধ্বংস করেছে: হাসান আহমেদ চৌধুরী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
ছবি : পরিবেশ ভাবনা শীর্ষক সংলাপ
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিবেশ রক্ষার কোন বিকল্প নেই। পরিবেশ, প্রাণ—প্রকৃতি রক্ষায় জাতি হিসেবে আমরা কোন সফলতা অর্জন করতে পারিনি। পরিবেশ সুরক্ষার ইনডেক্সে ১৮০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯ তম। পরিবেশ সুরক্ষায় জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ। বায়ুদূষণে বিশ্বের সাড়ে ১২শ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। বিগত সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। রামপাল কয়লাচালিত বিদুৎ প্রকল্পের কারণে সুন্দবনের জীব—বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। মাতারবাড়ি, বড়পুকোরিয়া, পায়রাসহ বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র পরিবেশ সুরক্ষা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়নি। পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হয় না। আওয়ামী সরকার জলবায়ু তহবিলের টাকায় সড়কে বাতি বসানো, বাস টার্মিনাল তৈরি, রাস্তা—ঘাট মেরামত, কলেজ ভবন নির্মান, পুকুরের ঘাট বাধানো, পার্ক তৈরি, জলবদ্ধতা নিরসন, অবকাঠামো নির্মানসহ অপ্রয়োজনীয় অনেক কাজে বিপুল অর্থ ব্যায় করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার সাথে তেমন কোন সম্পর্ক ছিলো না। আজ (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্দে্যাগে আয়োজিত এক সংলাপে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এসব কথা বলেন। সংলাপটি তেজগাঁওস্থ চ্যানেল আই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পরিচালক ড. এস এম মোর্শেদ বক্তব্য রাখেন। 
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা ঘর থেকে হওয়া উচিত। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে ছোট বেলা থেকেই ধারণা দেওয়া দরকার। দূষণে—দূষণে আমরা জর্জরিত হয়ে যাচ্ছি। গত ৫৪ বছরে আমাদের মূল্যবোধের যে অবক্ষয় হয়েছে তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমরা একদিকে জলবায়ুর ঝঁুকিতে রয়েছি অন্যদিকে জলবায়ু ঋণের বোঝা টানছি। বাংলাদেশ যাতে জলবায়ু ঋণের বোঝার ফাঁদে আর না পড়ে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ ও ২৪ এ তরুণরা দেশের গণন্ত্রের জন্য যেভাবে ভূমিকা রেখেছে আমি আশা করি পরিবেশ রক্ষায়ও আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংলাপে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, ইডেন মহিলা কলেজ ও তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।



