হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে যা বলেছেন মহানবী (সা.)
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ছবি : সংগৃহীত
হজরত ঈসা (আ.) আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও তার প্রেরিত রাসুল। তিনি বনী ইসরাঈলের সর্বশেষ রাসুল। আল্লাহর কুদরতে পৈতৃক সম্পর্ক ছাড়াই কুমারী মায়ের গর্ভে জন্মলাভ করেন এ নবী।
আসমানি প্রসিদ্ধ চার কিতার মধ্যে ইনজিল তার ওপর নাজিল হয়। হজরত ঈসা (আ.) আগের সব নবী ও আসমানি কিতাবের সত্যায়নকারী এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের সুসংবাদ দান করেন।
আল্লাহ তায়ালা হজরত ঈসা আ. সম্পর্কে বলেন, 'যখন ফেরেশতাগণ বলল, হে মারইয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার এক বাণীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-ঈসা ইবনে মারইয়াম; দুনিয়া ও আখিরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। যখন তিনি মায়ের কোলে থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন, তখন তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। আর তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোনো পুরুষ-মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন, এভাবেই। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোনো কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, 'হয়ে যাও', অমনি তা হয়ে যায়। ' (সুরা আলে ইমরান : ৪৫-৪৭)
হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে নবীজি (সা.) গভীর ভালোবাসা পোষণ করতেন। তার মতে, দুনিয়া ও আখিরাতে ঈসা (আ.)-এর সঙ্গে তার সম্পর্ক সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। তিনি হজরত ঈসা (আ.)-এর পরই দুনিয়াতে আগমন করেন তিনি।
এক হাদিসে নবীজি (সা.) ঈসা (আ.) ও তার মা মরিয়ম (আ.)-এর বিশেষ সম্মানের কথা বলেছেন। এক বর্ণনায় তিনি বলেছেন, আদম সন্তানের মধ্যে এমন কেউ নেই, যাকে জন্মের সময় শয়তান স্পর্শ করেনি, তাই সে চিৎকার করে ওঠে। তবে মরিয়ম ও তার সন্তান (ঈসা)-কে শয়তান স্পর্শ করতে পারেনি।’ (সহিহ মুসলিম)
আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, দাজ্জাল যখন মুসলমানদের ঈমান ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকবে আল্লাহ তায়ালা তখন ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ.)-কে পাঠাবেন। জাফরানের রঙ্গিন দু’টি পোষক পরিহিত হয়ে এবং দু’জন ফেরেশতার পাখার উপর হাত রেখে দামেস্ক শহরের পূর্বে অবস্থিত সাদা মিনারের উপরে তিনি অবতরণ করবেন।
তিনি যখন মাথা নিচু করবেন তখন সদ্য গোসলখানা থেকে বেরিয়ে আসা ব্যক্তির মাথা থেকে যেভাবে পানি ঝরতে থাকে সেভাবে তার মাথা থেকে পানির ফোটা ঝরতে থাকবে এবং যখন মাথা উঁচু করবেন তখন একইভাবে তার মাথা থেকে মণি-মুক্তার মত চকচকে পানির ফোটা ঝরতে থাকবে। কাফেরের শরীরে তার নিঃশ্বাস পড়ার সাথে সাথেই কাফের মৃত্যু বরণ করবে। চোখের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত গিয়ে তার নিঃশ্বাস শেষ হবে।
তিনি দাজ্জালকে ফিলিস্তিনের লুদ্দ শহরের গেইটে পাকড়াও করে হত্যা করবেন। অতঃপর তার নিকট এমন কিছু লোক আসবেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাজত করেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বুলাবেন এবং বেহেশতের মধ্যে তাদের উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে সংবাদ দিবেন। (মুসলিম)



