মহানবী (সা.)- এর ৯টি অভ্যাস, যা আজ বিজ্ঞানসম্মত বলে স্বীকৃত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মানবজাতির জন্য আদর্শ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাচরণ শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, বরং স্বাস্থ্য ও মানবকল্যাণের দৃষ্টিতেও অনুকরণীয়। চমকপ্রদভাবে, ১৪০০ বছর আগে তাঁর অনুসৃত কিছু অভ্যাসকে আজ আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত ও কার্যকর বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
নিচে তুলে ধরা হলো মহানবী (সা.)-এর এমন ৯টি অভ্যাস, যেগুলোর উপকারিতা আজ বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত:
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা: ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠতেন তিনি। বিজ্ঞান বলছে, সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
কম খাওয়া: তিনি পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাবার, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাসের জন্য খালি রাখার পরামর্শ দিতেন। এটি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
ধীরে ধীরে খাওয়া: ধীরে খেলে মস্তিষ্ক সময়মতো পেট ভরার সংকেত পায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া হয় না এবং হজম ভালো হয়।
একসাথে খাওয়া: তিনি একসাথে খাওয়ার মধ্যে বরকতের কথা বলেছেন। বিজ্ঞান বলছে, এতে মানসিক চাপ কমে এবং পরিবারে বন্ধন দৃঢ় হয়।
পানি পানের নিয়ম: একবারে নয়, কয়েক ধাপে পানি পান করতেন। এতে শরীরের লবণের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং মাথাব্যথা কমে।
ডালিম ফল: তাঁর প্রিয় ফলগুলোর মধ্যে ডালিম অন্যতম। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর এবং হাড় গঠনে সহায়ক।
রোজা রাখা: তিনি নিয়মিত রোজা রাখতেন, বিশেষ করে সপ্তাহে দুই দিন ও মাসের নির্দিষ্ট তারিখে। বিজ্ঞান বলছে, এটি হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
খেজুর: রোজা ভাঙার জন্য খেজুর ব্যবহার করতেন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমে সহায়তা করে।
সক্রিয় থাকা: তিনি শরীরচর্চা করতেন এবং খেলাধুলায় উৎসাহ দিতেন। নামাজ নিজেই এক ধরনের ব্যায়াম, যা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে।
এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করলে শুধু ধর্মীয় নির্দেশনা পালনই নয়, বরং একটি সুস্থ, সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন সম্ভব। মহানবী (সা.)-এর জীবনাচরণ আজও মানবকল্যাণের পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রাসঙ্গিক।



