কুড়িগ্রামে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত প্রতিমা তৈরীর কারিগরা
রাজু মোস্তাফিজ,কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
শরতের শান্ত ও শুভ্র রূপই দুর্গা পূজার আগমনকে নির্দেশ করে। সাদা কাশফুল, মেঘে ঢাকা আকাশ এবং শিউলি ফুলের সুবাস শরতের আগমনের প্রতীক, যা বাঙালি হিন্দুদের জন্য আনন্দ ও উৎসব নিয়ে আসে। এই সময় দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন ঘটে এবং এটিই দুর্গাপূজা বা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত।
পূজা তৈরীর কাজ পুরোদমে চলছে। কারিগররা শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরি, প্যান্ডেল সাজানো, এবং পূজার সরঞ্জাম তৈরীর কাজে যুক্ত হচ্ছেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ,দাশেরহাট, কাঁঠালবাড়ীর দেবালয় গ্রাম এবং রাজারহাট উপজেলার বৈদ্যেরবাজারের পুজা মন্ডপ গুলিতে দিনরাত প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিমা পলিশ, অলংকার, মুকুট, শাড়ির ডিজাইন থেকে শুরু করে কাঠামো নির্মাণ– সব কাজই করছেন।

কুড়িগ্রামে এবার পূজামন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। শেষ মুহূর্তে প্রতিমা বানানোর কাজ পাওয়া গেছে। এ কারণে স্বামী বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে হাত লাগাচ্ছে তাদের স্ত্রী, মা, পুত্রবধূ ও সন্তানরা। বৈদ্যেরবাজার গ্রামের তপন মালাকার এবার ১৭টি কাজ পেয়েছেন। ভীষণ কাজের চাপ তার। তিনি জানান ‘এখন আমরা রাত-দিন কাজ করছি। আমার স্ত্রীও আমার সাথে কাজ করছে।
কাঁঠালবাড়ী বালাটারী গ্রামের শুকলা রানী প্রতিমায় রং করে। সুন্দর করে সাজিয়ে দেন প্রতিমাকে। একই গ্রামের পূজা রানী জানান কাকা ধনঞ্জয় মালাকারের সঙ্গে প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। এ বছর চাপ বেশি। তাই কাকার সঙ্গে প্রতিমা তৈরি করছি।’ একই ইউনিয়নের দাশেরহাট গ্রামের কালিকান্ত পাল জানান ‘সারাবছর মাটির জিনিস তৈরি করে কোনোমতে সংসার চালাতে হয়। এবার ১৪টার অর্ডার পেয়েছি। কাজের চাপ খুব বেশী তাই এ সময় স্ত্রী-কন্যারা আমাকে কাজে সাহায্য করছে।

কুড়িগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় এবার ৫৩৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে রাজারহাটে ১৩২টি, উলিপুরে ১১২টি, নাগেশ্বরীতে ৮১টি, ফুলবাড়ীতে ৭২টি, সদর উপজেলায় ৫৭টি, কুড়িগ্রাম পৌরসভায় ২০টি, চিলমারীতে ২৮টি, ভূরুঙ্গামারীতে ২১টি, রৌমারীতে সাতটি ও চররাজিবপুরে দুটি। গত বছর ৪৮৫টি মন্ডপে পূজা হয়েছিল।
জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব স্বপন কুমার সাহা জানান,জেলায় পুজো সময় যাতে কোন ঝামেলা না হয় এ জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে নিজেদের লোকজনও সজাগ আছে।

পুলিশের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান সনাতন ধর্মম্বলীদেও সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পুজাকে ঘিওে জেলায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।



