ছবি : সংগৃহীত
জীবনের পথে নানা বিপদ-আপদ আসতেই পারে। এসব পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ এবং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা একজন মুমিনের কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে স্পষ্টভাবে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সুরা বাকারার ৪৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের ওপর কঠিন।”
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে বিপদের সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। সাহাবি হোজাইফা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি যখন কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন (সুনান আবু দাউদ ১৩১৯)। এই সুন্নাহ অনুসরণ করে মুসলমানরা যেকোনো বিপদে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইতে পারেন।
এছাড়া নবীজির শেখানো তিনটি দোয়া বিপদের সময় বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে:
১. সহজ করার দোয়া: اللَّهمَّ لا سَهْلَ إلَّا ما جعَلْتَه سَهلًا وأنتَ تجعَلُ الحَزْنَ سَهلًا إذا شِئْتَ “আল্লাহুম্মা লা সহলাহ ইল্লা মা জা'আলতাহ সহলান, ওয়ান্তা তাজ'আলুল হজনাস সহলান ইদা শিতা।” অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি যা সহজ করেন, তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়। আপনি চাইলে কঠিন বিপদকেও সহজ করতে পারেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান)
২. আল্লাহই যথেষ্ট: حَسۡبِیَ اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَیۡهِ تَوَکَّلۡتُ وَ هُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ “হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।” অর্থ: আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমি তাঁরই ওপর ভরসা করেছি, আর তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (তারগিব ওয়াত-তারহিব)
৩. হে চিরস্থায়ী: يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ، وأَصْلِحْ لي شَأْنِي كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ أبدا “ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুমু, বিরাহমতিক আস্তাগিথু, ওয়া আসলিহ লি শাআনি কুল্লাহু, ওয়া লা তকিলনি ইলা নাফসি তরফাতা আইনের আবাদা।” অর্থ: হে চিরস্থায়ী, সব কিছুর ধারক ও রক্ষাকর্তা! আমি আপনার করুণার মাধ্যমে সাহায্য চাই; আমার সব সমস্যা সমাধান করুন এবং এক পলকের জন্যও আমাকে আমার নিজের ওপর নির্ভর করতে দেবেন না। (সুনান আল কুবরা)
এই দোয়াগুলো বিপদের সময় আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার আশায় পাঠ করা যেতে পারে। ইসলামী শিক্ষায় ধৈর্য, নামাজ এবং দোয়ার মাধ্যমে বিপদ মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।



