মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। গণতন্ত্রের আলখেল্লা পরে নির্বাচন নাটক দেখাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে সেই ভয়েও তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগণের সায় নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগনের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির (একাংশ) উদ্যোগে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কখনো যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলেছি, আমরা ক্ষমতায় যেতে রাজনীতি করি না। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, মানুষের ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এতো ভয় কেন? কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে সেই ভয়ে। স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্র, সেই চেতনা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। তারা এখন আবার দেশকে যখন একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তার মূল বাধা বিএনপি।
তরুণ সমাজ কোথায়, দেশের এই অবস্থায় তাদের মধ্যে কি কোনো আলোড়ন কাজ করে না- এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্য কোনো পথ চিনি না, আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ পরিবারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন এমন তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে কেস দেখানো হয়েছে, গণতন্ত্র বিনষ্ট ও দুর্নীতির দায়। সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে। এমনকি সংবাদিকদের লেখার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
দুর্নীতি এমন পর্যায়ে গেছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্নীতি আর লোপাটের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এই ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পুরো দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে তারা।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সবাইকে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব ইনশাল্লাহ।
জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা আওলাদ হোসেন শিল্পী, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মফিজুর রহমান লিটন, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুসহ সমমনা জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।