Logo
Logo
×

রাজনীতি

তারা চাকরিজীবী নাকি আন্দোলনজীবী হতে চান প্রশ্ন ছাত্রলীগ সভাপতির

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম

তারা চাকরিজীবী নাকি আন্দোলনজীবী হতে চান প্রশ্ন ছাত্রলীগ সভাপতির

শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘায়িত করার সমালোচনা করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোটার বিষয়টির একটি তাৎক্ষণিক সমাধান হয়েছে। তবু রাজনৈতিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য জনদুর্ভোগ তৈরি করা হচ্ছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাদ্দাম হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এখন তারা আসলে চান কী? তারা কি চাকরিজীবী হতে চান, নাকি আন্দোলনজীবী হতে চান?’

সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। এটি নীতি–আলোচনার বিষয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রস্তাব সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলোচনা ও জনদুর্ভোগের কর্মসূচি পরিহার করার জন্য প্রচারণা চালাবেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার আদেশে সন্তোষ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিরে গেলেও পেশাদার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। তারা ব্লকেড-ব্লকেড খেলা খেলছেন। তাদের ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে, অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য থেকে সরে এসে যেন আমরা একটি সুষম রাষ্ট্র তৈরি করে ফেলেছি। কিন্তু কোটা না থাকার কারণে কয়েক বিসিএসে নারী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বেশ কিছু জেলা উল্লেখযোগ্য হারে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মেধার স্বর্গে নয়, বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’

কোটার বিষয় যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও যুগোপযোগী সুরাহা ছাত্রলীগও চায় দাবি করেন সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই নির্বাহী বিভাগকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু এটি নিয়ে দিনের পর দিন যারা নৈরাজ্য জারি রাখতে চান, ছাত্রসমাজ তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছে। আন্দোলনকে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে ছাত্রদলের ক্যাডারদের দেখা গেছে।

কোটা আন্দোলনের নাম করে কেউ বাঁ হাত ঢুকিয়ে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে তার ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তিনি বলেন, কোটা ইস্যুতে যেন কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারেন, শিক্ষার্থীরা যেন ভুল পথে না যান, ষড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনকে নষ্ট না করেন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন কোনো বেআইনি কাজে যুক্ত না হন, সে জন্য ছাত্রলীগ সজাগ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন ও ওয়ালী আসিফের পাশে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। কোটা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির যৌক্তিক ও ইতিবাচক সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনো মতামত লিখিত আকারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) অথবা [email protected]এই ই–মেইল ঠিকানায় পাঠানোর আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন