Logo
Logo
×

রাজনীতি

আমরা চোখে চোখ রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করব : সারজিস আলম

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম

আমরা চোখে চোখ রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করব : সারজিস আলম

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরে এসে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন এবং সেখান থেকে সরাসরি ফাঁসির মঞ্চে চলে যাবেন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরে ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ফরিদপুর জেলার উদ্যোগে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে ‘ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ এবং প্রক্লামেশন অব জুলাই রেভুলেশন’-এ জনআকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে এ ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনের সময় আমাদের ধারণা ছিল বাংলাদেশের দুটি জেলা স্বাধীন হলে পুরো দেশ স্বাধীন হবে। তার মধ্যে একটি জেলা হলো ফরিদপুর। আগস্টের ৩, ৪ ও ৫ তারিখে ফরিদপুরবাসীর গণজোয়ার শেখ হাসিনার পতনের ভিত তৈরি করে।

তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা চোখে চোখ রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করব। পৃথিবীর যে কোনো পরাশক্তি যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা করে যে তারা বাংলাদেশকে ডমিনেট করবে, তাহলে আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি ছুড়ে ফেলব।

সারজিস আলম বলেন, আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা বলেছি। আপনারা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে এ অভ্যুত্থানকে সফল করেছেন। এই অভ্যুত্থান সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে স্বীকৃতি পাবে। এ অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্বীকৃতি এবং যারা রক্ত দিয়েছেন, তাদের আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যেই প্ল্যাটফর্মকে সামনে রেখে ফ্যাসিবাদ বিরোধী পুরো বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ওই ঘোষণাপত্রে স্বর্ণাক্ষরে থাকতে হবে।

ওই ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আশরেফা খাতুন, রিফাত রশীদ, হাসিব আল ইসলাম, নাবিলা তালুকদার, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফারহান হাসান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসান।

সমাবেশে নিহত ফরিদপুরের আটজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সমন্বয়কেরা। এ সময় তাদের সান্ত্বনা দেন তারা। তাদের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন