সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলায় বহিষ্কার বিএনপি নেতা
যুগের চিন্তা ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে লাঞ্ছনার দায়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করায় ইকবাল হোসেনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে প্রকাশ্যে আপনি আপনার দলবল নিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত এবং লাঞ্ছিত করেছেন, যা সম্পূর্ণরূপে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি ঘৃণ্য অপরাধ। এ ধরনের গুরুতর কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জগামী আসিয়ান পরিবহনের একটি বাসে চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ইকবালের। পরবর্তী সময়ে বাসটি নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় এলে ইকবালের অনুসারীরা বাসচালককে মারধর করে বাসটিতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সাংবাদিক মিনহাজ আমান বাস ভাঙার প্রতিবাদ জানালে তাকেও লাঞ্ছিত করে ইকবালের অনুসারীরা।
ঘটনার পর পর সাংবাদিক মিনহাজ আমান নিজের ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনার একটি ছবি পোস্ট দিয়ে বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ, চালককে মারধর ও বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনের লোকজন তাকেও লাঞ্ছিত এবং হেনস্তা করেছে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিক মিনহাজ আমান লিখেন, ‘ড্রাইভারের সঙ্গে তর্কের জেরে পিটিয়ে গাড়ি ভেঙে ভিজিটিং কার্ড ধরায় দিয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। আসল নেতা বলতেই হয়। প্রতিবাদ করতে যেয়ে আমার অবস্থা নিয়ে বলতে চাই না। লজ্জায় মাথা হেট আমার। দুই হাজার শহীদের দেশ এটাই।’