শাহজাহান ওমরের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলোচিত ও সমালোচিত নেতা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আদালতে আনা হয় তাকে।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় ঝালকাঠি কারাগারে রয়েছেন শাহজাহান ওমর। আদালতে তোলা হলে জামিন আবেদন জানান তার আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির এবং বনি আমিন বাকলাই। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রাসেল আহম্মেদ শাহজাহান ওমর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পুররায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই দিন রাজাপুর অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদের দায়ের করা জিআর ১২১ রাজাপুর থানার আরেকটি (মামলা নং-৫) মামলায় শাহজাহান ওমর, রাজাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান মনির, ইউপি সদস্য মো. রাসেল ও তাওহীদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে দৃশ্যত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায়।
গত ২১ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করার সময় বিক্ষুব্দ জনতা এবং বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীরা ওমরকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেছিল। আদালত চত্বরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবার কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী তিন স্তরে ঘিরে রেখেছিল ঝালকাঠির আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকা।
ব্যারিস্টার ওমরকে কারাগারে নেয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বললেন, রাজাপুরের যে বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে সেটা আমার নিজের সম্পত্তির ওপর নির্মাণ করা বাড়ি। আমি ওই দিন বাড়িতে ছিলাম না। ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করি। এটা বিভিন্ন মিডিয়ায় রেকর্ড আছে। ঝালকাঠি ডিসি অফিসে রেকর্ড আছে। এটা মিথ্যা মামলা। আমার নিজের বাড়ি আমি আগুন দিবো, এটা কোনো দিন হয়? কারাগারে থাকা এটা কোনো ঘটনা না। আমি আবার সংসদ নির্বাচন করবো।
শাহজাহান ওমরের আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির বলেন, রাজাপুরের একটি বিস্ফোরক মামলায় পুলিশ ওমর ও মনিরুজ্জামানসহ ৫ জনের দৃশ্যত গ্রেপ্তারের দরখাস্ত করায় আদালত তা করে। ৫ মে ওমর দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য ছিলেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িত না। আমরা জামিন আবেদন করেছি আদালত নামঞ্জুর করেছেন।