হত্যাকারীদের শাস্তি পেতেই হবে: জামায়াত আমির
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
হত্যাকারীদের শাস্তি পেতেই হবে: জামায়াত আমির
ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষ হত্যাকারীদের কোনোভাবে ক্ষমা করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নেবো না। কিন্তু আমাদের দেশপ্রেমিক নাগরিক আলেম-ওলামা যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যাকারীদের আমরা বিচার চাই। মক্কা বিজয়ের দিনে নবী করিম (সা.) দীনের বিরোধিতাকারীদের ক্ষমা করেছিলেন। কিন্তু যারা মানুষ হত্যা করেছিল, তাদেরকে আল্লাহ রাসুল ক্ষমা করেন নাই। ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় হচ্ছে একমাত্র মৃত্যুদণ্ড। সুতরাং এদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানে হত্যা করতে হবে। যারা হত্যাকারী তাদেরকে শাস্তি পেতেই হবে। সাড়ে ১৫ বছর বিভিন্ন পর্যায়ে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে।
এ সময় জনগণের সম্পদ লুটপাটকারীদেরও বিচার দাবি করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, জনগণের হাজার ও লক্ষ-কোটি টাকা ফ্যাসিস্ট দল এবং তাদের দোসররা মিলে লুটপাট করেছে। সেই টাকা বাংলাদেশের রাখার সৎ সাহস নেই বলে তারা বিদেশের মাটিতে পাচার করেছে। সাহেবরা বাংলাদেশে আর তাদের পরিবার বেগম পাড়ায় থাকতো, এরা নাকি দেশপ্রেমিক!
তিনি প্রধানমন্ত্রীর তনয় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ রেহানার ছেলে দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, নিজের ছেলের জন্য বাংলাদেশে একটি মেয়েও খুঁজে পাননি, তারা আবার চেতনার দোহাই দেন। নিজেদের মেয়ের জন্যও বাংলাদেশের ছেলে তাদের পছন্দ হয় না। তাদের ওই চেতনা বাংলাদেশের মানুষ পছন্দ করেননি। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর জাতির ওপর দিয়ে তারা তাণ্ডব চালিয়েছে। জাতির এমন কোনো মানুষ নেই, তারা কয়জন ছাড়া, যারা নির্যাতিত নিষ্পেশিত হননি।
ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন, এমন আশ্বাস দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের ১০ দফার কথা বলা হয়েছে। না আমাদের দফা ৪১। সমস্ত শ্রেণি-পেশা ও লিঙ্গবর্ণ এবং ধর্ম সবার অধিকারের প্রতি সম্মান রেখে আমাদের ৪১ দফার রচিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ১০ দফা এনেছি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। আমরা সব দফা যদি তাদের ঘাড়ে উঠিয়ে দিই তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার তারাই এসে কী করবে। আমরা বেশ কিছু দফা নির্বাচিত সরকারের জন্য রাখতে চাই।
তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা সে সরকারটা যদি আমরা হই অথবা অন্য কেউ হয়, যেই হোক আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করে দেখতে চাই।