জামায়াত নির্ভরযোগ্য মিত্র নয়, জোটে গেলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য দিতে হবে: সামান্তা শারমিন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১২ এএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্ভরযোগ্য মিত্র নয় উল্লেখ করে দলটির সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা বা সহযোগিতায় না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপিকে ভবিষ্যতে কঠিন মূল্য চুকাতে হতে পারে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টে এনসিপির রাজনৈতিক আদর্শ, লক্ষ্য ও বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি।
সামান্তা শারমিন লেখেন, সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা বলেছেন, জামায়াতের ‘জুলাই স্পিরিট’ ও দেশ নিয়ে ভাবনার সঙ্গে একমত হলে যেকোনো রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে জোট করতে পারে। তবে এনসিপির দীর্ঘদিনের অবস্থান অনুযায়ী দলটির মূলনীতি ও রাষ্ট্রকল্প জামায়াত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন তথা ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাকে কেন্দ্র করে এনসিপি গড়ে উঠেছে। ফলে এই তিনটি বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান থাকাই যেকোনো রাজনৈতিক মিত্রতার পূর্বশর্ত।
নিজের বক্তব্যকে দলের গত দেড় বছরের রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিম্নকক্ষে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) ব্যবস্থার দাবি তুলে সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জামায়াত যুক্ত ছিল। এ কারণেই এনসিপির আহ্বায়ক আগেই স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, “যারা সংস্কারের পক্ষে নয়, তাদের সঙ্গে জোট সম্ভব নয়।”
ওই অবস্থানের আলোকে জুলাই পদযাত্রার পর থেকেই ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং এনসিপি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে—এ মর্মে সারা দেশ থেকে প্রার্থীদের আহ্বান জানানো হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফেসবুক পোস্টে সামান্তা শারমিন আরও বলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করা মানেই বিএনপির পক্ষে অবস্থান নেওয়া নয়। বরং বিভিন্ন ইস্যুতে এনসিপির যে অবস্থান এতদিন ধরে প্রকাশিত হয়েছে এবং নানা মহলে প্রশংসিত হয়েছে, সেটিকেই তিনি সঠিক মনে করেন এবং নিজেকে সেই আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে দেখেন।
তার ভাষায়, বিএনপি বা জামায়াত—যে কোনো দলের সঙ্গে জোট এনসিপির মৌলিক সাংগঠনিক কাঠামো ও রাজনৈতিক নীতিমালা থেকে সরে গিয়ে গঠিত হচ্ছে, যা দলটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।



