বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও তা অনুষ্ঠিত হবে কি না—এ নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল। তারেক রহমান দেশে ফেরায় সেই শঙ্কা দূর হয়েছে।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব মনে করেন, তারেক রহমান দলীয় রাজনীতির বাইরে জাতীয় রাজনীতিতে কী ভূমিকা রাখবেন, সেটিই এখন সবার নজরে থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাসনে থেকেও তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবে জাতীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা কেমন হবে, সেটিই বড় প্রশ্ন।

এদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার মাধ্যমে একজন রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক সংগ্রামেরই অংশ।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, অতীতে রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তারেক রহমান ও তার পরিবার রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান ও শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে তারা দেশে ফিরতে পেরেছেন।

তিনি বিশ্বাস করেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করবে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান ও সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।