Logo
Logo
×

রাজনীতি

১৭ বছর পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ এএম

বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে ব্যাপক ও স্তরভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকি করা হবে। মাঠপর্যায়ে মোতায়েন থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) ও পুলিশ সমন্বিতভাবে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের বাসভবন, অফিস এলাকা ও চলাচলের পথ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ও এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সদস্য বাড়ানোর প্রস্তুতিও রয়েছে। তার চলাচলের প্রতিটি ধাপ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং এসব কার্যক্রম ডিএমপি সদরদপ্তর থেকেই তদারকি করা হবে।

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সেসব অনুযায়ী চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা। গোয়েন্দা পুলিশ, সাদা পোশাকের সদস্য এবং পোশাকধারী পুলিশ বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন। ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের আগমনের দিনে বিমানবন্দর থেকে থ্রি-হান্ড্রেড ফিট, এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি থানা এলাকায় থাকবে পুলিশি নিরাপত্তা। সঙ্গে থাকবে পুলিশের স্পেশাল স্কট। বর্তমানে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অন্তত নয়টি চেকপোস্ট চালু রয়েছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিন গুলশান এলাকায় আরও চেকপোস্ট বাড়তে পারে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তারেক রহমান। বাসাটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত। বাসা পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি আপাতত ফিরোজাতেই অবস্থান করবেন। দেশে ফেরার পর গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরাসরি ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে তদারকি করা হবে। নির্দিষ্ট কোনো ডিভিশন নয়, বরং দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ছাড়া সব ধরনের সহযাত্রী ও দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীসেবা, নিরাপত্তা ও অপারেশনাল শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি সূত্র আরও জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তারেক রহমানের ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি ট্রাভেল পাস ও বিমানের টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিএনপি দলীয়ভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা হয়েছে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন