আর্থিক সাহায্য চাওয়ার ২২ ঘণ্টায় তাসনিম জারা পেলেন ৩৭ লাখ টাকা
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। নির্বাচনী খরচের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এই বার্তা দেওয়ার পর মিলেছে অভূতপূর্ব সাড়া। ২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেইজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘মাত্র ২২ ঘণ্টায় ৩৭ লাখ টাকা আপনারা পাঠিয়েছেন! ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার খুব কাছে আমরা। আপনাদের এই ভালোবাসা ও স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই।
আমার নির্বাচনী আসন ঢাকা ৯ (খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা)। এখানে একজন প্রার্থী খরচ করতে পারবেন মোট ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এই টাকাটা উত্তোলন করাই আমার লক্ষ্য। তাই আর মাত্র ৯ লাখ টাকা সংগৃহীত হওয়া মাত্রই আমরা এই ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেব।।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি জরুরি আপডেট: আমাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের লিমিট আজ রাত ২টার সময় শেষ হয়ে গেছে। যারা এখনও অনুদান পাঠাতে চাচ্ছেন কিন্তু বিকাশ সমস্যার কারণে পারছেন না, তারা দয়া করে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডোনেট করবেন।’
আমি শুরু থেকেই একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে এই ফান্ডরেইজিং হবে পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে উল্লেখ করে জারা বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করতে আমরা কী কী করছি? ১. আমরা ক্যাশ ডোনেশন না নিয়ে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ডোনেশন নিচ্ছি। তাই আমাদের প্রাপ্ত প্রতিটি টাকার একটি রেকর্ড থাকছে, যা আমার টিমের দ্বারা তৈরি না বরং বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই রেকর্ড ভবিষ্যতে যাচাইযোগ্য থাকবে। ২. আমরা আপনাদেরকে নিয়মিত জানাচ্ছি যে এখন পর্যন্ত মোট কত টাকা সংগ্রহ হয়েছে।
কোন মাধ্যমে কত টাকা এসেছে। এই সকল ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জমা দিবো। নির্বাচন কমিশন এটা যাচাই করতে পারবেন। ৩. কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে, তা আপনাদেরকে স্পষ্ট করে জানানো হবে।’
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পরামর্শ জানাতেও বলেন তিনি।
এর আগে ১৪ ঘণ্টায় ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৪ ঘণ্টায় আপনারা ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ডোনেট করেছেন, যা আমাদের ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের ও বেশি। আপনাদের অকল্পনীয় সাড়া ও ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। আমাদের টার্গেট ৪৬,৯৩,৫৮০ টাকা। এটা পূর্ণ হলেই আমরা ফান্ডরেইজিং বন্ধ করে দেবো।’
এর আগে সাত ঘণ্টা শেষে তহবিলের আপডেট দিয়ে জারা জানিয়েছিলেন, মাত্র ৭ ঘণ্টায় আপনারা ১২ লাখ টাকারও বেশি পাঠিয়েছেন। এতটা অভূতপূর্বভাবে আপনারা পাশে দাঁড়াবেন, তা সত্যিই আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।



