Logo
Logo
×

রাজনীতি

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, ঐতিহাসিক অভ্যর্থনার প্রস্তুতিতে বিএনপি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ এএম

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, ঐতিহাসিক অভ্যর্থনার প্রস্তুতিতে বিএনপি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আর মাত্র দুই দিন পর দেশে ফিরছেন। প্রায় ১৭ বছর পর তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলটির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটিকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীতে নানামুখী প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দলটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম ঘটানো হবে।

দলীয় সূত্র জানায়, সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনে সর্বোচ্চ নেতা-কর্মী উপস্থিত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকেও আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, তারেক রহমানের ফেরার দিনে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিটের গণসংবর্ধনাস্থল এবং গুলশান পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে নেতা-কর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে অধিকাংশ নেতা-কর্মীর রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

দলের শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন। ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও পুরো কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে তার মাকে দেখতে যাবেন নাকি আগে ৩০০ ফিটের গণসংবর্ধনাস্থলে যাবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

নেতা-কর্মীদের যাতায়াত সহজ করতে বিশেষ ট্রেন ও বগি রিজার্ভের আবেদনও করা হয়েছে।

অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিদিন প্রস্তুতি সভা হচ্ছে। সারা দেশের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক, অঙ্গসংগঠন ও গণমাধ্যমের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ রাখা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকবে।

দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমান দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস পেয়েছেন এবং বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২০ ফ্লাইটে টিকিট বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। ফ্লাইটটি ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি থাকবে।

এই ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে তারেক রহমানসহ ছয়জনের টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জুবায়দা রহমান, কন্যা জায়মা রহমান, মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আবদুর রহমান সানি এবং তাবাসসুম ফারহানা। টিকিটের মোট মূল্য ৯ হাজার ৮৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা।

বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত করা হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে। পাশাপাশি দলের বিশ্বস্ত নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলাদা নিরাপত্তা টিম গঠন করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, দেশে ফেরার পর তারেক রহমানের যাতায়াত, বাসভবন ও অফিস এলাকায় থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ প্রোটেকশনের পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দেশে ফেরার পর যেকোনো সময় বাবা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে শেরেবাংলা নগরে যেতে পারেন তারেক রহমান। প্রত্যাবর্তনের পরদিন শুক্রবার মাজার জিয়ারতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, প্রিয় নেতার দেশে ফেরাকে ঘিরে প্রস্তুতি খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে। লক্ষ্য হচ্ছে সর্বোচ্চ জনসমাগম নিশ্চিত করা এবং পুরো কর্মসূচি শৃঙ্খলাপূর্ণ রাখা। ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসা শুরু করেছেন, সোমবার ও মঙ্গলবারের মধ্যেই মূল সমাগম সম্পন্ন হবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন