ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা তারেক রহমানের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথম দিনে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ১০৭ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্য সামনে রেখে প্রার্থীদের নানা দিকনির্দেশনা দেন তারেক রহমান। তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা, ভোটের প্রচার কৌশল এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব দেন। একই সঙ্গে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বাস্তবায়নযোগ্য আটটি অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ফ্যামিলি কার্ড ও কৃষক কার্ড চালু, ক্রীড়া উন্নয়ন, খতিব-ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়ন, নদী-খাল-বিল ও পরিবেশ সংরক্ষণ, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি মতবিনিময় সভা হলেও কার্যত একটি কর্মশালার রূপ নেয়। সেখানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে, তা বিস্তারিতভাবে প্রার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ১১০ জন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। আগামী শনিবার ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯০ জন প্রার্থীর সঙ্গে একই ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রার্থীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে হবে এবং সরকার, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। নির্বাচনকে অর্থবহ করে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনাগুলোই হবে নির্বাচনি প্রচারের মূল হাতিয়ার। এসব পরিকল্পনা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
জানা গেছে, এই আটটি বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে সারা দেশের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে সাত দিনের কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। সেই কর্মশালার পর নেতারা মাঠে নেমেছেন। সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের নিয়েও একই ধরনের দিকনির্দেশনামূলক সভা করা হচ্ছে।
বগুড়া-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি মূলত একটি কর্মশালা ছিল। দলের পরিকল্পনা কীভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খুলনা-২ আসনের প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নির্বাচনি প্রচার কৌশল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি অপপ্রচার মোকাবিলায় করণীয়ও তুলে ধরা হয়েছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের প্রার্থী মো. ফারুক আলম সরকার বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের স্পষ্টভাবে বলেছেন, জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে প্রচার চালাতে হবে এবং জনগণের ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে।



