দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ঢাকার মাটিতে এসে পৌঁছাবেন। আমি তার আগমনকে শুধু স্বাগতই জানাচ্ছি না, বরং আনন্দের সঙ্গে দেশবাসীর কাছে এ সুখবরটি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, দেশে গণতন্ত্রের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো দূর হয়ে যাবে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ফলে নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং এতে সারা দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আশা-প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইনকিলাব মঞ্চের প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, একটি অপশক্তি নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি দ্রুত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী মির্জা আব্বাস গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে সহানুভূতি জানাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানে কিছু ব্যক্তি ও সমর্থকের উসকানিমূলক স্লোগান এবং মব তৈরির চেষ্টার ঘটনা ঘটে, যার তীব্র নিন্দা জানায় বিএনপি।
মির্জা ফখরুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা কোনো ধরনের গোলযোগ ও সন্ত্রাস চাই না। কিন্তু বিএনপির ওপর আঘাত এলে আমরা চুপ করে থাকব না। কীভাবে জবাব দিতে হয়, বিএনপি তা জানে।
তিনি সকল পক্ষকে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। অন্যথায় গণতন্ত্রের যাত্রাপথ ব্যাহত হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত ৯টায় তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।



