শেখ হাসিনা মুখোশ গণতন্ত্র ও বাকশাল কায়েম করেছিল: সালাহউদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা একদলীয় শাসনব্যবস্থায় মুখোশ গণতন্ত্র ও বাকশাল কায়েম করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করলেন - মুখোশ গণতন্ত্র, ভেতরে বাকশাল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করলেন। ১৪, ১৮, ২৪ সালে অগণতান্ত্রিক শাসন পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্য একদলীয়, ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা।’
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে তা সহজ ভাষায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি দেশের মানুষের কাছে সমর্থন চাইছে, ভোট চাইছে। জনগণ আমাদের কাছে কী চায়- তা তো আমাদের দিতে হবে। আমরা তো কেবল ধর্মের একটা ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা চাই জনগণের কল্যাণ, অর্থনৈতিক মুক্তি। আমাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনা কী আছে, সেটা জনগণের সামনে রাখা।’
তিনি বলেন, ‘যারা বিনা কষ্টে জান্নাতে যেতে চায় - তাদের আগে জানা দরকার বাস স্টেশন কোথায়? জনগণ এগুলো বোঝে। ধর্মব্যবসায়ী কেবল বলছে- এই মার্কায় ভোট দিলে জান্নাত। কিন্তু ইহকালে কিভাবে চলবে- এর কোনো বক্তব্য নেই। যেই দলের কোনো নীতি-আদর্শ নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই, শুধুমাত্র ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’
বাংলাদেশ মানেই বিএনপি, গণতন্ত্রের অপর নাম বিএনপি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে সিপাহি জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন। পরে চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন ১৯৭৯ সালে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে তিনি শাহাদাৎ বরণ করলেন। এরপর শুরু হলো বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আগমন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিজয়, ১৯৯১ সালে সংসদীয় পদ্ধতি চালু, ১৯৯৬ সালে জনগণের দাবিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণ - এগুলো বিএনপির অবদান।



