নির্বাচনের আসন বণ্টন
বিএনপির বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ শরিকদের, সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
শরিকদের জন্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আসন ঘোষণা না করায় অসন্তোষ বাড়ছে বিএনপি জোটে। তবে, বিএনপির নীতি-নির্ধারণী নেতারা বলছেন, জোটের বিষয়টি মাথায় রেখেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই শরিকদের আসনও ঘোষণা করা হবে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৭২ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। বাকি আসনগুলো শরিকদের দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানায়নি দলটি।
বিএনপির এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ বেড়েছে শরিকদের মাঝে। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি তাদের অবদান অস্বীকার করেছে বলে মত শরিক নেতাদের।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘বিএনপি আজকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের প্রার্থিতার প্রশ্নে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। তারা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপিআরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি
আরেক শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা বলেন, ‘তারেক রহমান আমাদের সাথে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন— যারা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, তাদের সাথে মিলে সরকার গঠন এবং নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি উনি দিয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করে প্রার্থী ঘোষণা আমি মনে করি, এই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।’
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও শরিকদের অনেকের প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে তালিকা দিয়েছি অলরেডি, অনেককে কনফার্ম করে দিয়েছি। আমরা এখনো ঘোষণা করিনি, কিন্তু কে কোথায় যাবে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা কোনো সমস্যা না। সমস্যা বানালে সমস্যা। এটার বিষয়ে আমরা সুস্পষ্ট বলে দিয়েছি, কতগুলো সিট দেবো বলে দিয়েছি। শরিক দলগুলোও জানে এটা যে কে কে পাবে মনোনয়ন। সবাই তো আর পাবে না।’
এছাড়া নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে শরিক দলের প্রার্থীদের স্থানীয় জনপ্রিয়তাকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নীতি-নির্ধারণী নেতা।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘লোকালিও দেখতে হবে কে কতো ভোট পাবে। এখন তো আরেকটি সমস্যা হয়ে গেছে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া নিয়ে। তাদের মার্কা নিয়ে কতটা আগানো যাবে, অনেক হিসাব নিকাশ আছে তো। এই নির্বাচন তো শুধু নির্বাচন নয়। ১৮ বছর পর নির্বাচন হবে— এটা নিয়ে তো আমরা হেলাফেলা করতে পারি না।’
এদিকে আসন ছাড় না দিলে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শরিকদের অনেকেই।
বিগত যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছে বিএনপি। নতুন করে আরপিও সংশোধনের ফলে শরিক দলগুলোকে আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে অনেক হিসাব নিকাশ করতে হচ্ছে দলটিকে। তাই নির্বাচনী জোট বড় করতে গিয়ে জেতা আসন হারতে চায় না বিএনপি।



