লন্ডনের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না: সাদিক কায়েম
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে তারুণ্য ও ইনসাফ কে ধারণ করে করতে হবে। “দিল্লি ও লন্ডনের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। স্বাধীন বাংলাদেশ আর কারো প্রেসক্রিপশনে চলবে না। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এই দেশের জনগণ। দিল্লীতে বসে পিন্ডিতে বসে আর কোন রাজনীতি চলবে না।
শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পাবলিক ক্লাব মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের রাজনীতি বাইরে বসে লেখা যাবে না। দেশের মানুষের স্বার্থ নতুন প্রজন্মকে ধরে রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তরুণ সমাজকে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রক্ষায় সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মেধা, সততা ও দেশপ্রেমই বাংলাদেশের রাজনীতিকে বদলে দিতে পারে। তরুণরা যদি এগিয়ে আসে সুন্দর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
৫৪ বছরেও উত্তরবঙ্গের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকার পরেও অযোগ্য নেতৃত্ব, অব্যবস্থাপনা, দূর্নীতি ও ভারতের প্রেসক্রিপশনে করা রাজনীতির কারণে ৫৪ বছরেও উত্তরবঙ্গের মাটি ও মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। এখন পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
আবু সাদিক কায়েম বলেন, এ দেশ থেকে চাঁদাবাজদের দূর করার জন্য, দূর্নীতিবাজদের দূর করার জন্য, ধর্ষকদের দূর করার জন্য এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে একটি বৈষম্যহীন ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যাদের কথা এবং কাজের মধ্যে মিল আছে তাদের বাছাই করতে হবে। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সে জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইনসাফের প্রতিনিধিদের ভূমিধ্বস বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি তরুণরা যেদিকে যাবে আগামীর বাংলাদেশ সেদিকেই যাবে।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিগবা, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনের জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল হাকিম, জামায়াতের নেতা মাওলানা সোলাইমান হোসাইন প্রমুখ।



