Logo
Logo
×

রাজনীতি

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ হত্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ হত্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। ছবি : সংগৃহীত

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতাকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে দলটি। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শনিবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক দশক আগে ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাসুদের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর থেকে একটি কৃত্রিম পায়ের সাহায্য নিয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করছিলেন মাসুদ। মাত্র ৫দিন আগে মাসুদ প্রথম কন্যা সন্তানের জনক হন। 

তিনি গতকাল সদ্যজাত কন্যার জন্য ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ঠিক সে সময়েই সংঘবদ্ধভাবে হামলার শিকার হন মাসুদ। প্রথমে তাকে বস্তায় ভরে পেটানো হয়। এরপর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে তাকে ফেলে রাখা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এ ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ড আইনের শাসনের সুস্পষ্ট অবনতি। 

এমনকি চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিতে যেতে দেয়া হয়নি। মাটিতে ফেলে রাখা মাসুদ বারবার পানি পান করতে চাইলেও খুনিরা ন্যূনতম সহানুভূতি দেখায়নি। পাষণ্ডরা মাটিতে ফেলে রেখেই মাসুদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এটাকে অনেকে গণপিটুনি হিসেবে অভিহিত করার চেষ্টা করছেন। অথচ এটা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড। 

যে কারণে পানি পান করতে না দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়। সুতরাং সবার প্রতি আহ্বান জানাই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই হত্যাকাণ্ডকে ছাত্র-জনতার হাতে মৃত্যু বা গণপিটুনিতে মৃত্যু হিসেবে অভিহিত না করার। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

যেখানে গুরুতর অপরাধের জন্যও সাধারণত কোনো আদালতেই পঙ্গু ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় না সেখানে মাসুদকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে যাবতীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিসর্জন দেয়ার যে চর্চা চলছে তা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 

এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা জাতির জন্য গভীর বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমরা এ হত্যার মহোৎসব বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে নৃশংস, বর্বরতার প্রদর্শনী আর দেখতে চাই না। এসব বিষয়ে দেশি, বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নীরবতাও দুঃখজনক। মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অতীতের ন্যায় তাদের সরব ভূমিকা আশা করছি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন