নির্বাচন-গণভোট একসঙ্গে করার সিদ্ধান্তে সমমনা আট দলের আপত্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
জুলাই জাতীয় সনদ জারির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দল। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার সিদ্ধান্তকে ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ বলে নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমমনা আট দলের বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ থেকে নির্বাচনকে ঘিরে যে জটিলতা—দাবি-দাওয়ার অচলাবস্থা—তার সমাধান মিলবে বলে দলগুলো আশা করেছিল। কিন্তু বক্তৃতা বিশ্লেষণ করে তাদের ধারণা হয়েছে, জাতির মুক্তির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, জুলাই সনদ জারি করায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ। তবে সনদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রয়োজন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোট একই সঙ্গে করার ঘোষণা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। দলগুলো তার কাছে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভাষণে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও কিছু সিদ্ধান্ত সনদ বাস্তবায়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
প্রধান উপদেষ্টা গণভোট নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের পক্ষে দুটি ‘দুর্বল যুক্তি’ দিয়েছেন বলে দাবি করেন ডা. তাহের। তার ভাষায়, প্রথমত বলা হয়েছে টাকা সাশ্রয় হবে। কিছু সাশ্রয় হতেই পারে, কিন্তু জাতির প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ স্বাভাবিক বিষয়। গণভোটে যে ব্যয় হবে, সেটি উপকারের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। দ্বিতীয় যুক্তি ছিল—গণভোট আলাদাভাবে হলে বাস্তবায়নে জটিলতা বাড়বে। এসব যুক্তি টেকসই নয়।
ডা. তাহের জানান, নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে সমমনা আট দলের পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।
সমমনা আট দলের দাবি—জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচন থেকে আগে গণভোট হওয়া জরুরি; নইলে সনদের উপকারী দিকগুলো রাজনৈতিকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়বে।



