নির্বাচনী আমেজে সাংগঠনিক ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে চায় এনসিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
চলমান নির্বাচনী আমেজকে কাজে লাগিয়ে সারাদেশে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে তৎপর হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তৃণমূল ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বিদ্যমান দুর্বলতা কাটিয়ে দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতেই এখন কাজ করছে তারা। এ লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করছে এনসিপি।
দলটি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জন্য তাদের দরজা খোলা। স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে এমন কৌশল নিয়েছে এনসিপি।
দলটির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই নির্বাচনে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে অংশ নেব, তবে আমাদের মূল লক্ষ্য পরবর্তী নির্বাচন। এবারে আমরা সাংগঠনিক ঘাটতিগুলো কাটিয়ে উঠতে চাই। শহরাঞ্চলে এনসিপির পরিচিতি আছে, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এই নির্বাচনী সময়টাই সেই ঘাটতি পূরণের উপযুক্ত সময়।
এনসিপির নেতারা বলছেন, বড় দলগুলোর মনোনয়নবঞ্চিত বহু নেতার কাছে এখন বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চায় দলটি। এসব নেতার অনুগত কর্মীর সংখ্যা কম নয়, ফলে তাদের অন্তর্ভুক্তি হলে আঞ্চলিক পর্যায়ে এনসিপির গতি বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে এনসিপি। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের একসময়ের মিত্র জাতীয় পার্টি বাদে যেকোনো দলের সৎ ও যোগ্য নেতারা এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন। বিএনপি ও জামায়াতে অনেক নেতা আছেন, যারা পার্টি অফিসে সঠিক জায়গায় নক করতে না পারায় মনোনয়ন পাননি—এনসিপি তাদের স্বাগত জানাবে।
তবে এনসিপি এককভাবে নাকি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যাবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রার্থিতা নিয়েও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
আগামী ১৩–১৪ নভেম্বর এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নির্বাচনী জোট ও প্রার্থী তালিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের নেতারা জানিয়েছেন, বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই এনসিপিকে জোটসঙ্গী করতে আগ্রহী, তবে নির্বাহী কাউন্সিলের অনেক সদস্য এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে রয়েছেন।



