কয়রা -পাইকগাছার প্রিয় মুখ আমিরুল ইসলাম কাগজী
শামসুল আলম সেতু
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী খুলনা-৬ (কয়রা - পাইকগাছা) থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শানসামলে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে পরিচিত প্রিয় মুখ।
দক্ষিণ খুলনার এই কৃতি সন্তান কর্মগুণে খুব সহজেই কয়রা পাইকগাছার মানুষের প্রিয়জন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকায় অসহায়, গরিব, দুখী মানুষের জন্য কাজ করে চলছেন নিরলসভাবে। কেবল আন্তরিক ও প্রাণবন্ত ব্যবহার দিয়েই নয়, অর্থ-মেধা-শ্রম দিয়েও মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছেন; সকলের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন।
্এলাকায় গণসংযোগ করছেন আমিনুল ইসলাম কাগজী
ফ্রী স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে হাজারও রোগীকে সেবা দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন। এলাকার এমন কোন কলেজ স্কুল মাদ্রাসা নেই যেখানে তার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নাই। পাইকগাছা কলেজে অনার্স কারিকুলাম সংযুক্ত করে পিছিয়ে পড়া এই এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছেন। স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য আমিরুল ইসলাম কাগজী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ স্থাপন করে তাদের শিক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিএড ডিগ্রি সম্পন্ন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এলাকার মানুষের সেবায় তার কোনো ক্লান্তি নেই। নেই কোনো অবসর।
কেন্দ্রীয়ভাবে তিনি ঢাকায় যেমন জনপ্রিয় কয়রা -পাইকগাছার মানুষের কাছেও তিনি খুব আপনজন।ষাটোর্ধ্ব বয়সে এসেও তিনি কাজ করে চলেছেন তরুণদের মতো। এমন একজন প্রাণচঞ্চল নেতাকে যদি এলাকার মানুষ এমপি হিসেবে পায় তাহলে পিছিয়ে পড়া উপকূলবাসীর জীবনমান আরো উন্নত হবে।।
এ প্রসঙ্গে আমিরুল ইসলাম কাগজী বলেন, প্রতি বছর আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় কয়রা ও পাইকগাছার হাজারো মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। ঘূর্ণিঝড় বা বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, ফসলি জমি, বসতবাড়ি। এতে দীর্ঘদিন পানিবন্দি হয়ে থাকায় বাড়িঘর বা রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা হয়ে পড়ে। উপকূলবর্তী এ জনপদে সরকারি হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো অনেক দূরে দূরে অবস্থিত। আবার এর মধ্যে অনেক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় চিকিৎসক থাকলেও প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই।
হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের এমন বেহাল অবস্থা থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে উপকূলের মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারে না। বিভাগীয় শহর খুলনার আধুনিক ক্লিনিক হাসপাতাল থাকলেও সেখানে গিয়ে অতিরিক্ত খরচের কারণে তাদের পক্ষে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। সেই সব মানুষের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছি।
ঢাকা ও খুলনা থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেছি। বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। কারও ঢাকা নেওয়ার প্রয়োজন হলে সে ব্যবস্থাও করেছি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যে কারণে এলাকার সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচনের সকল ধরণের প্রস্তুতি আমার রয়েছে।



