কিছু ব্যক্তির অপকর্মে সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অনুচিত: বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
গুম-খুনের ঘটনায় জড়িত কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির দায়ে পুরো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অনুচিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির মতে, সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সদস্য মন থেকে চান—যারা সীমা লঙ্ঘন করেছে, তারা যেন আইনের মুখোমুখি হয়।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানায় বিএনপি। আওয়ামী লীগ আমলে গুমের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বিএনপি বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর পেশাদারি রক্ষায় অপরাধের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার অত্যন্ত জরুরি। ন্যায়বিচার কেবল অতীতের অন্যায়ের প্রতিকারই নয়, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি না ঘটায়, সেই নিশ্চয়তাও দেয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি দেশ চলা উচিত ‘ল অব দ্য ল্যান্ড’—অর্থাৎ আইনের দৃষ্টিতে সমতার নীতি অনুযায়ী। কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির অপরাধ কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপানো যেমন অন্যায়, তেমনি তাদের অপকর্মের দায়ে পুরো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনুচিত, উল্লেখ করে বিএনপি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের পুরো সময়ে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার দল হিসেবে বিএনপি সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নয়, বিবেচ্য কেবল ব্যক্তির অপরাধ ও আইনের শাসন।
তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিচ্ছিন্ন অপরাধের সঙ্গে একটি দেশপ্রেমিক বাহিনীকে ঘিরে জনগণের আবেগ, আস্থা ও সম্মানের কোনো সম্পর্ক নেই—থাকা উচিতও নয়। সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য এই মাটির গর্বিত সন্তান। তাই আমরা নিশ্চিত, অধিকাংশ সেনাসদস্য নিজেরাও চান, সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক।
বিএনপি বলেছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে কোনো সরকার আর কখনো সেনাবাহিনীকে গুম-খুনের মতো অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে না পারে।



