নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর ‘গোপন মিশন’ অপারেশন ছাগল মন্ত্রিপাড়ায়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
মন্ত্রিপাড়া সাধারণত সিরিয়াস মানুষের জায়গা— এই সময়ের জন্য উপদেষ্টা, আমলা, প্রোটোকল, ফাইল, স্যুট-টাই আর দীর্ঘ বৈঠক। কিন্তু গত ডিসেম্বর সেখানে ঘটেছিল এক ব্যতিক্রমী ঘটনা, যা আজও মন্ত্রিপাড়ার আড্ডার আলোচনার বিষয়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বাংলোয় দুটি ছাগল ছিল। তো এক রাতে ছাগল দুটি উধাও। হ্যাঁ, ছাগলই—গাড়ি না, মোবাইল না—পুরোপুরি জীবন্ত ছাগল।
এই ছাগল ‘অপারেশনের’ মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম আসছে বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর। সহযোগী হিসেবে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিফাত রশিদ।
এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রিফাত ঘটনাটির সত্যতা ও তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।
ছাগল উধাও কাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য—সেদিন রাতে ছাত্রনেতারা সিরিয়াস আলোচনায় ডুবে ছিলেন। হঠাৎ কারও একজনের মাথায় আইডিয়া এল—‘ভাই, একটু দুষ্টুমি করি না!’
দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে নাসীর আর রিফাত ছাগল দুটো টেনে বের করলেন। বাইরে ‘রিসিভিং টিম’ প্রস্তুত ছিল। পুরো দৃশ্যটা যেন সিনেমার দৃশ্য—শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকই বাদ ছিল।
এরপর যা ঘটল, তা যেন ডার্ক কমেডি। একটা ছাগলকে রাতেই জবাই করা হলো। প্রথমে ধারালো অস্ত্র না পেয়ে বটির ব্যবস্থায় দারুণ এক ‘ইনোভেশন’ চালু হয়। শেষমেষ কাওরান বাজার থেকে কসাই ডেকে এনে মহা আয়োজন—মাংসের দাওয়াত! রাতভর পার্টি, হাসাহাসি, খাওয়া-দাওয়া।
দ্বিতীয় ছাগলটি অবশ্য বেঁচে গিয়েছিল। তবে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় একেবারে প্রতিবাদী লুকে। অর্থাৎ গলায় ঝোলানো ছিল প্ল্যাকার্ড। আর সেই প্ল্যাকার্ডে লিখা ছিল, ‘চপ্পুর পদত্যাগ চাই।’
সেদিনের ঘটনা বাংলোর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আইন উপদেষ্টা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। মজার ব্যাপার হলো, ফুটেজে দেখা গেল নাসীর আর রিফাত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ‘ভেংচি’ কাটছেন। মনে হচ্ছিল তারা নিজেরাই যেন কোনো কিছুর ভিডিও ধারণ করতেছিলেন।
এদিকে ক্ষুব্ধ আইন উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে অভিযোগ করেন। তরুণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিব্রত হয়ে ছাগল কিনে দেন। যদিও আইন উপদেষ্টা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনার ব্যাপারে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কাছে বারবার ফোন ও মেসেজ পাঠানো হলেও এই ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
তার দল এনসিপির মুখপাত্র সালেহ উদ্দিন সিফাতকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি পাটওয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানান।
এই ব্যাপারে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো ছাগল কেস পাইনি। সূত্র : বাংলা আউটলুক



