আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে যুবদল নেতার বাড়িঘরে ভাঙচুর আগুন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
কিশোরগঞ্জের যশোদল ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম রতনের বাড়িঘরে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন যুবদল নেতা খাইরুল ইসলাম রতন। এসময় তার বাবা-মা, ভাবিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে রতন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত যশোদল ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকিধামকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রাজন সাহেবকে অবহিত করা হলেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। কামরুলের দাবি অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় গতকাল শুক্রবার রাতে আমার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী রতন আরও বলেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও তার দোসররা বহাল তবিয়তে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কামরুল বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে আমায় দুইবার জেলে পাঠিয়েছে মিথ্যা মামলা দিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার কামরুলের নেতৃত্বে বাশার, রব, ওহাবুল, বিল্লাল, রাকিব, সোহাগসহ আরো কয়েকজন হামলা চালায়।
এসময় রতনের মা রাবেয়া খাতুন বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দোকানে ছিলাম এসময় খবর পাই কয়েকজন ছেলেপেলে আমাদের বাড়ির দিকে হামলা করতে আসছে। খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে গিয়ে পুত্রবধূ, নাতিদের ঘর থেকে বের করে নিয়ে তালা লাগিয়ে অন্যের বাড়িতে চলে আসি। কয়েক মিনিট পরেই দেখতে পাই আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ছে আমাদের বাড়িঘর। আমাদের সর্বস্ব শেষ হয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই।
রতনের ভাবি পেয়ারা বেগম বলেন, আমার ঘরে ৪ ভড়ি স্বর্ণ ও ব্যবসার ৬ লক্ষ টাকা ছিল। সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় থাকবো কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। তারা এখনো আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ ঘটনায় যশোদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন বলেন, আমার কাছে খাইরুল অভিযোগ জানালে আমি তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী ও পুলিশকে জানালে তারা তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কোনো মামলা না হওয়ায় আসামিরা ছাড়া পেয়ে পুনরায় হামলা চালায়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভুক্তভোগীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



