‘আমি ইনকিলাবের জুমা, আমার রাজনৈতিক গ্রুমিং হাদি ভাইদের হাতে’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ফাতিমা তাসনিম জুমা। তিনি শিবিরের প্যানেল থেকে ১০ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭০ ভোট।
জুমা শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও নিজেকে ‘ইনকিলাব মঞ্চের’ কর্মী বলে মনে করেন। জুমা জানান, শুরুতে ছাত্রদলের রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলেও স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পতনের পর তিনি ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হন। তবে কী কারণে তিনি শরিফ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চকে বেছে নিলেন তার কারণও অবশ্য ব্যাখা করেছেন তিনি।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে ওয়ালে ‘আমি ইনকিলাবের জুমা’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন ফাতিমা তাসনিম জুমা। তিনি লেখেন, সততা আর সাহসিকতা আমি বাই বর্ন আমার বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। কিন্তু প্র্যাক্টিস করেছি ইনকিলাব মঞ্চে এসে এবং এই অনুশীলন সাফল্য আনে।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের আগে আমি ছিলাম রাজনীতি সচেতন এপলিটিক্যাল এস্থেটিক একজন। জুলাইয়ের উত্তাল সময়ে যখন অব্দি পতনের আশা করতে পারছিলাম না, আমি সিদ্ধান্ত নিই রাজনীতি করবো, হাসিনারে তাড়াইতে একটা পলিটিক্যাল গাইডেন্সের আন্ডারে যাবো। সিদ্ধান্ত নিই- ছাত্রদল করবো, সেই সময়ে ঢাবি ছাত্রদল, নোমানী ভাই ও আয়াজ ভাইদের লেখা আমাকে ছাত্রদলের প্রতি উইক করে। এরই মধ্যে হাসিনার পতন ঘটে, ছাত্রদল তখন একপ্রকার ক্ষমতায়। আমি বরাবর ক্ষমতাকে প্রশ্ন করাদের দলে থাকতে চেয়েছি। সেই তাড়নায় কালচারাল ফ্যাসিজমকে এড্রেস করা ইনকিলাব মঞ্চ হয়ে উঠে আমার ভয়েস তোলার জায়গা।
‘পলিটিক্যাল পার্টি ছাড়া পলিটিক্স শুরু করা আমার পলিটিক্যাল বয়স দেড় বছর। এই দেড় বছরে আমার গ্রুমিং হয়েছে হাদি ভাই, জাবের ভাইদের মতো মানুষের হাতে। ইনডিড আমি লাকিয়েস্ট’, যোগ করেন ডাকসুর এই নেত্রী।
জুমা আরও বলেন, গত এক বছরে আমার সঙ্গে কী কী হয়েছে তা বর্ণনা আর না করি। বারবার নিজেকে ভেঙে গড়েছি। শত শত প্রোপাগান্ডার বিপরীতে একবারও আমার ওপর থেকে বিশ্বাস হারায়নি আমার ইনকিলাব, আমার পরিবার, ওসমান ভাবি, আহনাফ তাহমীদ ও ওয়াহিদুল হাদি। প্রচণ্ড ভাঙাচোরা জুমাকে আজকের স্ট্রংগেস্ট জুমা বানিয়েছে এই কয়েকজন।
ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক বলেন, যে মানুষগুলোর শ্রমের বিনিময়ে রাষ্ট্রের মালিকানার অংশীজন হয় এলিটরা, তাদের শরিকানা দেওয়ার বেলায় যতো টালবাহানা। এই শরিকানাটুকু নিশ্চিত করতে, শহিদদের সিলসিলা জারি রাখতে জুমা মাঠে মাটি কামড়ে পড়ে ছিল, আছে, সামনেও ইনশাআল্লাহ থাকবে। জুমা বাংলার নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠুক। অহংকার অহমিকা ও হিংসা থেকে দূরে থাকুক। জুমা বাংলাদেশের হয়ে উঠুক। দোয়া চাই।
ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



