বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ‘চরম নির্যাতনের’ শিকার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি স্যাঁতসেঁতে কক্ষে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছিল, যেখানে ইঁদুর ও পোকামাকড় চলাচল করতো। কয়েকজন ডেপুটি জেলার ও জেলার তাকে ছাদের ওপরে একটি অনুপযুক্ত কক্ষে রাখেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি খালেদা জিয়ার জেলজীবনে তার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।”

২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বিনা চিকিৎসায় বন্দি থাকায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার আবেদন করা হলেও তৎকালীন সরকার তা নাকচ করে দেয়।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ কোভিড পরিস্থিতিতে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাকে রাখা হয়। পরে ৬ আগস্ট তিনি সাজা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পান।

খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নয়াপল্টনের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নিরব, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, রফিকুল আলম মজনু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।