সরকারের অপরাধ বিবরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৬ এএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়ে গণহত্যা করে সরকার অমার্জনীয় অপরাধ করে জানতে চায় কী তাদের অপরাধ? তাদের অপরাধের তালিকা এতই দীর্ঘ যে, বিবরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না।
বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও অনেক অভিভাবক তার শিক্ষার্থী সন্তানের খোঁজ পাচ্ছে না। যাত্রাবাড়ী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাসরুর হাসানকে ডিবি ২৫ জুলাই রাতে তুলে নিয়ে এলেও তার অভিভাবকরা থানা, ডিবি অফিস, বিভিন্ন হাসপাতালে কোনো খোঁজ পায়নি। গতকাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করতে এলেও মাসরুরের বাবা ও ভাইকে ডিবি সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ রকম অসংখ্য শিক্ষার্থীর খোঁজ তাদের অভিভাবকরা না পেয়ে উদ্বিগ্ন, অসহায় অবস্থায় আছেন। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের সামনে হাজির করার আইন থাকলেও ডিবি হেফাজতে ৪/৫ দিন রেখে বেআইনি কাজ করছে গণবিরোধী সরকার। আবার আটক না করেই নিরাপত্তার নামে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি অফিসে তুলে এনে তাদের জিম্মি করে রাখছে। আইনি ভিত্তি ছাড়াই হেফাজতের কাহিনি নজিরবিহীন।
তিনি আরও বলেন, নিজেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডার দিয়ে গণহত্যা, নৈরাজ্য চালিয়ে নির্লজ্জ সরকার লোক দেখানো রাষ্ট্রীয় শোকের নামে মায়াকান্না করলেও প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করে গতকাল যে অভূতপূর্ব লাল ডিজিটাল প্রতিবাদের সৃস্টি করেছে, তাতে আপামর জনসাধারণের ঐক্য জানান দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি চালানোর প্রমাণ থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার না করে অপরাধীকে খুঁজে বেড়ানো এবং ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান উপহাস মাত্র।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের আগে থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত, তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করলেও এবং বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মোরশেদ হাসান খান ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকলেও তাদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হানা দিচ্ছে। একজন বিচারপতির শিক্ষার্থী ছেলেকেও মিথ্যা মামলায় আটক করে রিমান্ডে নিয়ে হয়রানি-নির্যাতন করা হয়েছে।