ছবি : সংগৃহীত
দেশের রাজনীতিতে জামায়াত ইসলাম সিদ্ধান্তহীনতা আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দলটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনআস্থার জায়গা হারিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
১৯৪৭ সালে যখন ভারত উপমহাদেশ ভাগ হয়ে নতুন দুটি রাষ্ট্র— ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম নেয়, তখনও দলটি বিভক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের ধারণা ছিল, বিভক্তি হলে দেশ দুর্বল হবে। কিন্তু সময় প্রমাণ করল, সেই অবস্থান ছিল যুগের চাহিদার বিপরীতে।
এরপর আসে ১৯৭১ সাল। বাঙালি জাতি যখন মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছে, তখনও জামায়াত ইসলাম‘দেশভাগের’ আশঙ্কায় স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। ইতিহাসে সেই অবস্থান আজও কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৮৬ সালের দিকে গিয়ে আবারও দেখা যায় একই বিভ্রান্তি। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়, তখন এই দলটি আওয়ামী লীগ কে সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নামে। তাদের এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে রাজনীতিতে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরেও জামায়াত ইসলাম একই অনিশ্চয়তায় ভুগছে। নির্বাচনের তারিখ পেছানো, অংশগ্রহণ বা বর্জন— এই তিন দিকের মধ্যেই দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। সভা-সমাবেশে নানা দাবী ও ফন্দির মধ্য দিয়ে তারা এখনও কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
“আমি মনে করি জামায়াত ইসলাম ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি। প্রতিবারই তারা সময়ের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। জনগণ তাই এখন প্রশ্ন করছে— তারা আসলে কবে সঠিক সিদ্ধান্তে আসবে?”
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনার বিষয়— বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া এই দলের ভবিষ্যৎ কতটা টিকে থাকবে, তা সময়ই বলে দেবে।৷ নজরুল ইসলাম জাকি, সাংবাদিক, শেরপুর বগুড়া।
নজরুল ইসলাম জাকি
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি



