সপ্তাহের সেরা দিন- জুমার দিন। এ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল— জুমার নামাজ। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে এ দিনে ১৭টি করণীয় উল্লেখ করেছেন।
১. গোসল করা, (বুখারি, হাদিস: ৮৭৭)
২. মিসওয়াক করা, (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)
৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা, (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৩)
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা, (বুখারি, হাদিস: ৮৮০)
৫. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া, (বুখারি, হাদিস : ৯১০, ৮৮৩)
৬. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা, (বুখারি, হাদিস : ৯১১)
৭. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই সালাত আদায় করা, (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৬২)
৮. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা, (বুখারি, হাদিস : ৯৩০)
৯. গায়ে তেল (লোশন) ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮৩)
১০. পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা, (মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)
১১. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা, (বুখারি, হাদিস : ৮৫৩)
১২. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১৯)
১৩. ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১০)
১৪. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১০৮)
১৫. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তিলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৩২)
১৬. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতে বলাও বেহুদা কাজ।(আবু দাউদ, হাদিস : ১১১২)
১৭. বেশি বেশি প্রার্থনা (দোয়া) করা। (বুখারি, হাদিস : ৯৩৫)
উক্ত কাজগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এই জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)