ডিবির নতুন প্রধানের দায়িত্বে আশরাফুজ্জামান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে বদলী করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বদলী করা হয়েছে।
একই আদেশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নতুন প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আশরাফুজ্জামানকে। এর আগে তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার লজিস্টিক অ্যান্ড ফিনান্স প্রকিউরমেন্ট শাখার দায়িত্বে ছিলেন।
একই আদেশে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনকে ডিএমপির অতিক্তি কমিশনার লজিস্টিক ফিনান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট হিসেবে বদলী করা হয়েছে। খন্দকার মহিদ ডিএমপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতেন।
প্রসঙ্গত: ২০২২ সালের ১৩ জুলাই হারুন অর রশীদকে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ২০২২ সালের ১১ মে ডিআইজি হিসাবে পদন্নোতি পাওয়ার আগে হারুন অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। বিসিএস ২২ ব্যাচের কর্মকর্তা হারুন নানা কারনে আলোচিত ও সমালোচিত। তিনি গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার থাকাকালে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া অতিরিক্ত উপকমিশনার থাকার সময় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুককে ঘুষি দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন।
ডিবি প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর হারুন অর রশীদ রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ডিবি কার্যালয়ে নেন। সেখানে তাদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার ছবি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ নামে সমালোচিত হয়। তিনি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করে এনে তাকে দুপুর বেলায় খাওয়ান। সেই ছবি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
কয়েকদিন আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে খাবার গ্রহণের ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করায় হারুন অর রশীদের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, হারুনের কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন হাইকোর্ট, যা দেশে-বিদেশে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এছাড়া হারুন অর রশীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে নানা সমালোচনার তৈরি করে। এই প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দিন থেকে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানের পদ থেকে হারুনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল।