চার দাবিতে ফের দুদিনের আলটিমেটাম কোটা আন্দোলনকারীদের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
চার দাবিতে ফের দুদিনের আলটিমেটাম কোটা আন্দোলনকারীদের
ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা ও সারাদেশে কারফিউ প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে সরকারকে ফের দুইদিনের আলটিমেটাম দিয়েছে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ডিআরইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের সভাপতি নাজিদ ইসলাম, সারস আলম, সারদার নাবিল মাহমুদ শুভ, হাসিব আল ইসলাম, মোমতাহিনা মাহজাবিন মোহনাসহ সহযোগী।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন জারির আগে সরকার কোনো আলোচনা করেনি। সরকারের উচিত ছিল শিক্ষার্থী ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আগেই আলোচনা করা। আমরা একটি স্বাধীন কমিশনের আহ্বান জানাচ্ছি যাতে ভবিষ্যতে এই কোটা ইস্যুতে আর কোনো প্রশ্ন না ওঠে বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়। আমরা চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে এই প্রজ্ঞাপন গ্রহণ করব না।
তিনি বলেন, এ প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসছি না। একটি সুস্পষ্ট সমাধানে না পৌঁছানো এবং সমস্ত ঘটনার বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান নাহিদ।
তিনি আরো বলেন, এটা স্পষ্ট যে সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের ফলেই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থার দায় সরকারকেই নিতে হবে। জনজীবন রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর সরকার এখন দায় এড়াতে ছাত্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা দুই দিন আগে চারটি নতুন দাবি ঘোষণা করেছি। সেসব দাবি পূরণ না হলে সরকারের সঙ্গে অন্য ৮ দফা দাবি নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, তা মানা হয়নি।
চারটি দাবি হলো, ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পুনরায় চালু করার পরিস্থিতি তৈরি করতে ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপসারণ এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের বাবা। তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া গত দুই দিন ধরে রিফাত রশিদ নামে আরেকজন বিক্ষোভকারী নিখোঁজ রয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।
আরেক সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে শুরু হয়েছিল এবং সেখানেই আমাদের আন্দোলন শেষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা।