টিউলিপ সিদ্দিক
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার তার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রিজওয়ান সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ—ঢাকার গুলশানে একটি প্লট ‘অবৈধভাবে হস্তান্তরের ব্যবস্থা’ করে দিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড থেকে ঘুষ হিসেবে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন তিনি। এ অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
এই মামলার তদন্তে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে আগামী ১৪ মে সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭ মে পাঠানো নোটিশটি টিউলিপের ধানমন্ডি ও গুলশানের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সর্দার মোশারফ হোসেনকে। তারাও ১৪ মে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য পৃথক নোটিশ পেয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৬৩ সালে বরাদ্দপ্রাপ্ত একটি সরকারি প্লট ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে ভাগ করে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট নির্মাণ ও বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি বৈধ লিজ হোল্ডার না হওয়া সত্ত্বেও রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদেরকে আমমোক্তার নিয়োগ ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের অনুমোদন দেন। অভিযোগে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক এই প্রক্রিয়াকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে নিজেও ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন, যা ঘুষ হিসেবে গণ্য।
মামলায় দণ্ডবিধির ১২০(বি), ৪০৯, ১৬১-১৬৫(ক) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতির মামলায়ও টিউলিপকে আসামি করা হয়েছিল, যদিও তিনি সেখানে কোনো প্লট নেননি। ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তিনি খালা শেখ হাসিনার ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করেছিলেন।
টিউলিপ ও শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম কাজ করছে।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপ সিদ্দিকের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।



