শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে বাকবিশিসের ১১ দফা ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০১:১৫ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে খণ্ডভাবে নয়, সম্পূর্ণরূপে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। এ দাবির পাশাপাশি ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ মোট ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেছে সংগঠনটি।
শুক্রবার ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন শিক্ষক নেতারা।
তাদের মতে, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণ করে সমাধান পাওয়া যাবে না। বরং একটি টেকসই ও সমানাধিকারভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে গোটা ব্যবস্থাকেই জাতীয়করণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো -
১. সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও শতভাগ উৎসবভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদান।
২. অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ১১টি বিষয়ের উপর গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের ন্যায় শিক্ষা বিষয়ের উপরও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন।
৩. উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ বাতিল করে পূর্বের ন্যায় সহকারী অধ্যাপকের পদ চালু করা।
৪. বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তসহ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করা।
৫. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় অবসর সুবিধা প্রদান করা এই বিধান না হওয়া পর্যন্ত অবসরে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর তহবিলের টাকা প্রদান নিশ্চিত করা।
৬. বেসরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা.
৭. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ন্যায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করা।
৮. শিক্ষা প্রশাসনে বেসরকারি শিক্ষকদের আনুপাতিক হারে পদায়ন করা।
৯. অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা।
১০. অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগও শিক্ষক নিয়োগের ন্যায় এনটিআরসিএ বা অন্য যেকোনো বিকল্প শিক্ষক নিয়োগ, কমিশনের মাধ্যমে করা।
১১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, লাঞ্ছনা ও চাকরিতচ্যুতি বন্ধ করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মজুমদার, অধ্যক্ষ আকমল হোসেন, অধ্যাপক সৈয়দা শাহিনা পারভিন প্রমুখ।



