এলএনজি সরবরাহে কাতারের প্রতিশ্রুতি, সমঝোতা স্মারক নবায়নের উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কাতার সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) নবায়নের এবং স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়নের প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে কাতারের প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আমরা বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।" তিনি আরও আশ্বাস দেন, খুব শিগগিরই নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। পাশাপাশি, তিনি বলেন, “সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিই সর্বোত্তম উপায়।”
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাসের সঙ্গে একটি জি-টু-জি ভিত্তিক এলএনজি বিক্রয়-ক্রয় চুক্তি করে বাংলাদেশ, যার আওতায় প্রতি বছর ১.৫-২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে আরও ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি যোগ হয়, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যাওয়ায়, তা নবায়নের বিষয়টি এখন অগ্রাধিকার পেয়েছে।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ তার জ্বালানি খাত পুনর্গঠনের জন্য কাতারের সহযোগিতা কামনা করছে। আমরা আমাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।”
এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, পাইপলাইন স্থাপন এবং এলএনজি সরবরাহ ব্যবস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের টার্মিনালগুলো বছরে প্রায় ১১৫টি এলএনজি কার্গো হ্যান্ডল করতে সক্ষম, এবং কাতার থেকে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কাতার বাংলাদেশে ইউরিয়া সার সরবরাহ বাড়াতেও আগ্রহী।
উল্লেখ্য, বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিআইডিএ চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি বিষয়ক সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।



