মেঘনা, এনআরবি ও এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:০১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বেসরকারি খাতের মেঘনা, এনআরবি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকে ৭ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রতিটি ব্যাংকের ৭ জন করে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব পরিচালকরা তাদের নিজ নিজ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। আগামীকাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮টিসহ মোট ১১ ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এমন পদক্ষেপ নিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকিং খাতে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আর্থিক খাতকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে ইসলামী, এসআইবিএল এবং ফার্স্ট সিকিউরিটিসহ আরও কয়েকটি ব্যাংককে মুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার রোধে কঠোর নজরদারি, মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি এবং আরও কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের মূল্যস্ফীতি ইতোমধ্যে এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আরও ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদী গভর্নর।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। বিশেষ গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, ঋণের নামে লুটপাট, বিদেশে অর্থপাচার, লাগামহীন খেলাপি ঋণ এবং ডলার ও রিজার্ভ সংকট ব্যাংক খাতের ক্ষত আরও গভীর করেছে।
পূর্ববর্তী গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের ভুল নীতির কারণে ব্যাংক খাতকে সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এতে গ্রাহকদের আস্থাহীনতা বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।