‘আদম বেপারী’ থেকে ভয়ানক ব্যাংক প্রতারক সেলিম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
ভয়ানক ব্যাংক প্রতারক সেলিম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
পেশায় একসময় ছিলেন ‘আদম বেপারী’। তার ইউরোপা ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ছিল মানবপাচারের নানা অভিযোগ। পরে তিনি ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হয়ে উঠেন ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের ভয়ানক সদস্য। ব্যবসায়িক বন্ধুর জমি কৌশলে কয়েক ব্যাংকে ‘জামানত’ রেখে হাতিয়ে নিয়েছেন্ কয়েকশত কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংক, অগ্রনী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন কয়েকটি ব্যাংক থেকে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা নিয়েছেন। আবার ঢাকা ব্যাংক বন্ধক রাখা ফ্ল্যাট বিক্রি করছেন বন্ধুর স্ত্রীর কাছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি করায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সিএমএম আদালতে এনআই অ্যাক্ট (দ্যা নেগশিয়েবল ইন্ট্রমেন্ট) মামলা রয়েছে বেশ কয়েকটি। এসব মামলায় প্রায় এক ডজন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনকভাবে তাকে ‘খুঁজে পাচ্ছে না।’
বহুল আলোচিত এই জালিয়াত চক্রের মূল হোতার নাম সেলিম চৌধুরী। তার বাসা গুলশান-২ এর ৫৫ নম্বর সড়কের এক্সেলসিওর কনকর্ড ভবনে। আর অফিস বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর টাওয়ার হেমলেট ভবনে। তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান (ছেলের নাম) তিশাম অ্যাপারেলসের নামে ৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, শিহাব গার্মেন্টসের নামে ২৭ কোটি ২০ লাখ, পটেটো ফ্ল্যাক্স বিডির নামে ৯৫ কোটি টাকা, সাথী অ্যাপারেলসের নামে ৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা পাওয়া রয়েছে ব্যাংকের। সেলিম চৌধুরীর পরিবারের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা ২১৫ কোটি টাকারও বেশি। শরিয়াহ ভিত্তিক একটি ব্যাংক পাবে ১৩০ কোটি টাকারও বেশি, ট্রাস্ট ব্যাংক ৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া রিলায়েন্স লিজিং, ঢাকা ব্যাংক পাবে আরও প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। টাকা পাওনা রয়েছে তার মাধ্যমে প্রতারণার শিকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর। সব মিলিয়ে সেলিম পরিবারের ঋণ ৬০০ কোটি টাকার বেশি। বড় অংকের এই টাকা তিনি দুবাই, হাঙ্গেরীসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন বলে বিভিন্ন মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইতে রয়েছে তার ৬টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পদ। হাঙ্গেরিতেও রয়েছে বড় ব্যবসা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জালিয়াতির টাকায় সেলিম চৌধুরী ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) দলও কিনেছিলেন। নাম ঢাকা গ্লাডিয়েটরস। ২০১৩ সালে টুর্নামেন্ট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত হওয়ার ২০১৪ সালে সেলিম চৌধুরীর দল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে বিপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
সেলিম চৌধুরীর প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরেন ইকবাল হায়দার চৌধুরী নামে তার এক ব্যবসায়িক বন্ধু। তিনি যুগের চিন্তা ২৪ কে বলেন, ‘জনশক্তি রপ্তানীর ব্যবসা করতে সেলিম চৌধুরীর সঙ্গে আমার পরিচয় ও বন্ধুত্ব। আমার আশুলিয়ায় প্রায় ১০ বিঘা জমি আছে। সেটি বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছিলাম। একদিন সেলিম চৌধুরী আমার বিজয়নগরের অফিসে এসে ২০ কোটি টাকায় কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। টাকা তিনি কয়েক দিন পরে দিবেন বলে জানান। বহুদিনের বন্ধুত্বের সুবাধে ২০ কোটি টাকার চেক রেখে আমি তার এক প্রবাসী খালাত ভাই মশিউর রহমানের নামে জমির রেজিষ্ট্রি করে দেই। সেলিম চৌধুরী ওই জমি তার খালাতো ভাই জিহান চৌধুরীল নামে জাল দলিল তৈরি কেরন। ওই জাল দলিল ইসলামী ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নেন। ঋণের নথিপত্রে নাম ব্যবহার করেন জিহান চৌধুরীর। শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকটির চক মোগলটুলি শাখা জিহান চৌধুরীর ১৩০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের জন্য এনআই অ্যাক্টে তিনটি মামলা করেছে। তার একটি ৫৫ কোটি টাকা, অপর দুটি ৩৫ কোটি ও ৪০ কোটি টাকার। আদালতে এই টাকা পাওনা পরিশোধ করার আদেশ চেয়েছে দিয়েছে ব্যাংক। মামলার নথিতে দেখা গেছে জিহান চৌধুরীর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেলিম চৌধুরীর বনানীর অফিসের। পদ্মা এগ্রো ট্রেডার্স নামে ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা নানীর টাওয়ার হ্যামলেট ভবনের সপ্তম তলায় সেলিম চৌধুরীর অফিস।
ইকবাল হায়দার চৌধুরী জানান, তিনি সেলিম চৌধুরীর কাছে জমি বিক্রয়ের চেক বাবত পাওনা আদায়ের জন্য এনআই অ্যাক্টে মামলা করেছেন। মামলায় তিনি ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওনা দাবী করেছেন। এছাড়া ইকবাল হায়দার চৗধুরী ঢাকার এমএম আদালতের ৪১৬/২০২২ নম্বর মামলায় ৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৫১৩ টাকা পাওনা দাবী করেছেন। এজহারে সেলিম চৌধুরীর ছেলে শিহাব হোসেন চৌধুরী ও মেয়ে তিশাম তামরিজ চৌধুরীকেও আসামী করেছেন।
এই মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গাজীপুরের ভাকরল মৌজার (আশুলিয়া) বিভিন্ন দাগে ৩১৮ শতাংশ জমি ১৭ কোটি টাকা দাম নির্ধারণ করে সেলিম চৌধুরীর কাছে বিক্রি করেন। সেলিম তার খালাত ভাই মশিউর রহমানের নামে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর টঙ্গী সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রেশন নেন। নিবন্ধনের সময় জমির মূল্য দেখানো হয় ৩ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। জমি রেজিষ্ট্রেশ নেওয়ার সময় সেলিম ও তার স্ত্রী নাহিদ চৌধুরীর যৌথ ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ কোটি টাকার একটি চেক দেয়। প্রতারক সেলিম চৌধুরী এই জমি রিলায়েন্স লিজিং কোম্পানী বন্ধক রেখে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। রিলায়েন্স লিজিংয়ের টাকা পরিশোধ না করে জাল দলিলের মাধ্যমে এবং পূর্ববর্তী ঋণের তথ্য গোপন করে ইসলামী বাংকের চকমোগল টুলি শাখা থেকে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ ৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নেয়।
ইকবাল চৌধুরী জানান, সেলিম চৌধুরী ১৭ কোটি টাকার চেক ফেরত নিয়ে ঢাকা ব্যাংকের তিনটি চেক দেন। তার একটি দুই কোটি, একটি এক কোটি ও একটি তিন কোটি টাকার। পরে আবার এসব চেক ফেরত নিয়ে পদ্মা এগ্রো ট্রেডার্সের ব্যাংক হিসাব থেকে ২ কোটি টাকার করে ৬টি চেক দেয়। এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের চেকে এক কোটি টাকা দেয়। সবগুলো চেক ডিজঅনার হয়। এছাড়া বাদী বসুন্ধরার একটি প্লট বন্ধক রেখে পে অর্ডারের মাধ্যমে দুই কোটি টাকা নিয়ে পরে আবার ফেরত দেয়। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইকবাল চৌধুরীকে সেলিম চৌধুরী ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক দেন। কিন্তু সেগুলোও ডিজঅনার হয়। এভাবে সেলিম চৌধুরী জমি বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তার সঙ্গে বহুভাবে দেন দরবার করে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলায় ব্যাংক ঋণের সুদসহ মোট সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা পাওনার দাবী করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেলিম চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ১১১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শিল্প এলাকা শাখার। ১৯৯৭ সালে ৩টি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তারা। অগ্রণী ব্যাংকের এই শাখা থেকেই নিজের জমি মর্টগেজ দিয়ে খালাতো ভাই মনজুর আলমের নামে ৯৪ কোটি টাকা ঋণ করিয়েছিলেন সেলিম। সেই টাকাও ফেরত দেননি।
এরমধ্যে ঋণ আদায়ের জন্য অগ্রণী ব্যাংকর মামলায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন তিনি। দুই সপ্তাহের মধ্যে সুদ মওকুফ সুবিধার আওতায় এক কোটি টাকা পরিশোধ করে জামিন পান সেলিম চৌধুরী। তিন মাসের মধ্যে ঋণের পুরো টাকা পরিশোধের করার শর্ত ছিল। কিন্তু কোনো টাকাই পরিশোধ করেননি। জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কিন্তু পুলিশ বলছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এক সময়ের আদম ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী ব্যাংক জালিয়াতি করতে পারিবারিক সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করেন। এই চক্রে জড়িত তার স্ত্রী নাহিদ চৌধুরী, দুই ছেলে শিহাব হোসেন চৌধুরী ও তিশাম তামরিজ চৌধুরী। আরও আছেন সেলিমের খালাতো ভাই মনজুর আলম, মশিউর রহমান ও চাচাতো ভাই জিহান হোসাইন চৌধুরী। তার সাত ব্যাংক ও লিজিং থেকে ঋণ নিয়েছেন।
সেলিম চৌধুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। বাবা ইয়াহিয়া চৌধুরীর চাকরির সুবাদে তারা বসবাস করতেন খুলনায়। ১৯৯০ সালের দিকে ঢাকায় এসে আদম ব্যবসা শুরু করেন। ইউরোপা ট্রাভেলস নামে একটি কোম্পানী খুলে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠে মানবপাচারের অভিযোগ। পরে নানা কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা শুরু করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সেলিম চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাহি নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল করপোরেট শাখা থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। বড় ছেলে শিহাব চৌধুরীর নামে শিহাব গার্মেন্টস লিমিটেড নামের কোম্পানি খুলে আরও ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। আর ছোট ছেলে তিশামের নামে তিশাম অ্যাপারেলে নামের আরেকটি কোম্পানি খুলে নেওয়া হয় ৬ কোটি টাকা। কোনো টাকা পরিশোধ না করায় সুদসহ ব্যাংক এখন সেলিম ও তার দুই ছেলের কাছে পাবে ১১১ কোটি টাকা। এই তিন কোম্পাানীর নামে ঋণ নেওয়ার পর সেলিম জমি মর্টগেজ রেখে খালাতো ভাই মনজুর আলমের মেসার্স পটেটো ফ্ল্যাক্স বিডি লিমিটেডের নামে ৯৪ কোটি টাকা ঋণ করিয়ে নেন। প্রায় তিন দশকেও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি।
শরিয়াভিত্তিক একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সেলিম আশুলিয়ার জমি বন্ধক রেখে সয়াবিন, আলু ও আলুর চিপস আমদানি, পদ্মা বহুমুখী ব্রিজ, রিভার ট্রেনিং প্রকল্পসহ সরকারি কয়েকটি প্রকল্পে কোলো পাথর, বোল্ডার পাথর সরবরাহের কার্যাদেশ দেখিয়ে ২০১৬ সালে ১৬ কোটি এবং ২০১৮ সালে ১৩৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জিহান। ঋণ পরিশোধে ২০১৮ সালে ইসলামী ব্যাংককে ৪০ কোটি টাকার একটি চেক দেন তিনি। কিন্তু অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় ওই চেক প্রত্যাখ্যাত হয়।
ইসলামী ব্যাংকের চক মোগলটুলী শাখার কর্মকর্তারা বলেন, নানান ব্যবসা দেখিয়ে ১৫৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জিহান। বর্তমানে তার কাছে ব্যাংকের মোট পাওনা ২০০ কোটি টাকার বেশি।
ট্রাস্ট ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে ট্রাস্ট ব্যাংকের দিলকুশা করপোরেট শাখা থেকে ৬৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল ইউরোপা বেভারেজ লিমিটেড। যার চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী। তিনি ঋণের কয়েকটি কিস্তি পরিশোধও করেন। পরে আর দেননি। ব্যাংক বর্তমানে তার কাছে ৬০ কোটি টাকার বেশি পাবে।
এদিকে ঢাকা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা সেলিমের কাছে ১৭ কোটি টাকারও বেশি। সেলিম চৌধুরী ২০০৭ সাল থেকে কয়েক ধাপে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এখন সুদসহ ব্যাংক তার কাছে পাবে ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ব্যাংকে ঋণ নেওয়ার সময় সেলিম চৌধুরী ১৮৭০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট বন্ধক রাখেন। প্রতারণামুলকভাবে ওই ফ্ল্যাট আবার ইকবাল চৌধুরীর স্ত্রী রুবিনা পারভীনের কাছে বিক্রি করেন। ব্যাংকের বন্ধক রাখা ফ্ল্যাট বিক্রির অভিযোগে রবিনা চৌধুরী ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন।
ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৮ সালে সেলিম চৌধুরী, স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে অগ্রণী ব্যাংক। ওই মামলায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহের মধ্যে সুদ মওকুফ সুবিধার আওতায় এক কোটি টাকা দিয়ে জামিন পান তিনি। জামিনের ৩ মাসের মধ্যে ঋণের পুরো টাকা পরিশোধের শর্ত ছিল তার। কিন্তু পরিশোধ করেননি। জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় সেলিমের বিরুদ্ধে ১২টির বেশি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পরোয়ানা থাকার পরও সেলিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমার বিষয়টি জানা নেই। আমি খবর নিয়ে পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।’
সেলিম চৌধুরীর বিষয়ে গুলশান থানা পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে অনেক দিন থেকেই বেশ কিছু পরোয়ানা আছে। বাসায় ও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে খুঁজে পাওযা যায়নি।
পরোয়ানা থাকা ও ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে সেলিম চৌধুরীর কাছে জানতে সেলিম চৌধুরীর তিনটি মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানোর পরও তিনি কোন রিপ্লাই দেননি।