
প্রিন্ট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
শিল্পকলার মহাপরিচালক জামিল আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে ফারুকীর প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ সম্প্রতি তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে ফারুকী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, জামিল আহমেদের কিছু বক্তব্য সঠিক নয়, কিছু মিথ্যা এবং কিছু কথা হতাশা থেকে এসেছে।
শনিবার ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “আমি জামিল ভাইয়ের কাজের অনেক গুণমুগ্ধ, তবে আমাকে এই পরিস্থিতিতে সত্য বলতে হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “জামিল ভাইয়ের পদত্যাগ নিয়ে আমি কথা বলার ইচ্ছা ছিল না, কারণ এতে কিছু বিষয় উত্থাপিত হবে যা তার জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে রেকর্ডের জন্য আমাকে এগুলো বলতেই হচ্ছে।”
শুক্রবার রাতে জাতীয় নাট্যশালার মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জামিল আহমেদ। সেই সময়ই তিনি শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ফারুকী বলেন, “জামিল আহমেদ বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক। আমি সম্প্রতি তাকে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কাছে অনুরোধ করেছি, যেন তিনি তাদের দেশে একটি থিয়েটার প্রোডাকশন পরিচালনা করেন।” তিনি আরও বলেন, “ভালো শিল্পী হওয়া এবং আমলাতন্ত্রের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা দুটি আলাদা কাজ। এখানে ধৈর্য এবং ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা প্রয়োজন।”
ফারুকী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়, যা থিয়েটার বা ফিল্ম ইউনিটের মতো স্বাধীন কাজের পরিবেশের থেকে অনেক ভিন্ন। তিনি জামিল আহমেদের পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, “আমি তাকে শ্রদ্ধা করি, তবে এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলতে হবে। আমি তার সৃজনশীল কাজে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।”
জামিল আহমেদ তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বাজেট কর্তন, একাডেমির অভ্যন্তরে দুর্নীতিবাজ চক্রের কার্যক্রম এবং কর্মীদের দ্বারা কাজের পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব কারণে তার জন্য শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, পদত্যাগের আগে তিনি চারটি শর্ত রেখেছিলেন, যার মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করা, শিল্পকলা একাডেমিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া, ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া এবং ফোকাল পয়েন্টের ধারণা বন্ধ করার প্রস্তাব ছিল।
এ ছাড়া, তিনি ‘আদিবাসী’ বলতে স্বাধীনতার অধিকার চেয়েছিলেন। জামিল আহমেদ বলেন, এই শর্তগুলো মানা হলে তিনি তার পদত্যাগ পুনর্বিবেচনা করতে প্রস্তুত ছিলেন। জামিল আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে ফারুকীর প্রতিক্রিয়া
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ সম্প্রতি তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে ফারুকী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, জামিল আহমেদের কিছু বক্তব্য সঠিক নয়, কিছু মিথ্যা এবং কিছু কথা হতাশা থেকে এসেছে।
শনিবার ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “আমি জামিল ভাইয়ের কাজের অনেক গুণমুগ্ধ, তবে আমাকে এই পরিস্থিতিতে সত্য বলতে হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “জামিল ভাইয়ের পদত্যাগ নিয়ে আমি কথা বলার ইচ্ছা ছিল না, কারণ এতে কিছু বিষয় উত্থাপিত হবে যা তার জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে রেকর্ডের জন্য আমাকে এগুলো বলতেই হচ্ছে।”
শুক্রবার রাতে জাতীয় নাট্যশালার মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জামিল আহমেদ। সেই সময়ই তিনি শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ফারুকী বলেন, “জামিল আহমেদ বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক। আমি সম্প্রতি তাকে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কাছে অনুরোধ করেছি, যেন তিনি তাদের দেশে একটি থিয়েটার প্রোডাকশন পরিচালনা করেন।” তিনি আরও বলেন, “ভালো শিল্পী হওয়া এবং আমলাতন্ত্রের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা দুটি আলাদা কাজ। এখানে ধৈর্য এবং ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা প্রয়োজন।”
ফারুকী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়, যা থিয়েটার বা ফিল্ম ইউনিটের মতো স্বাধীন কাজের পরিবেশের থেকে অনেক ভিন্ন। তিনি জামিল আহমেদের পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, “আমি তাকে শ্রদ্ধা করি, তবে এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলতে হবে। আমি তার সৃজনশীল কাজে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।”
জামিল আহমেদ তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বাজেট কর্তন, একাডেমির অভ্যন্তরে দুর্নীতিবাজ চক্রের কার্যক্রম এবং কর্মীদের দ্বারা কাজের পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব কারণে তার জন্য শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, পদত্যাগের আগে তিনি চারটি শর্ত রেখেছিলেন, যার মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করা, শিল্পকলা একাডেমিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া, ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া এবং ফোকাল পয়েন্টের ধারণা বন্ধ করার প্রস্তাব ছিল।
এ ছাড়া, তিনি ‘আদিবাসী’ বলতে স্বাধীনতার অধিকার চেয়েছিলেন। জামিল আহমেদ বলেন, এই শর্তগুলো মানা হলে তিনি তার পদত্যাগ পুনর্বিবেচনা করতে প্রস্তুত ছিলেন।