
প্রিন্ট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
তরুণদের নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে ছাত্র-জনতা : সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। পুরোনো ছবি
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ এবং ১৯৭১ থেকে ২০২৪—সব সংগ্রাম এক সূত্রে গাঁথা। তিনি তরুণ প্রজন্মকে ২০২৪ সালের চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সারজিস আলম বলেন, "৫২ ও ৭১-এর চেতনাকে ধারণ করেই ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়বে। এটাই আমাদের আজকের শপথ।"
তিনি আরও বলেন, "১৯৫২ সালে আমাদের পূর্বসূরীরা ভাষার দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন, বাধার মুখেও তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আমাদের ইতিহাস বলে, যৌক্তিক দাবিতে লড়াই করা আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা রক্ত ও জীবন দিয়ে আমাদের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।"
সারজিস আলম ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "দেশের ছাত্র-জনতা যখন রাজপথে নেমেছে, তখন আবারও বাধা এসেছে, প্রতিরোধের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের মতোই রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি, স্বৈরাচারকে উৎখাত করেছি। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেছি।"
এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও অন্যান্য বিচারপতিরা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরা, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্যরাও শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।