
প্রিন্ট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৫ এএম
বাংলাদেশে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৪ পিএম

ফাইল ছবি
ভারতের আদানি পাওয়ার আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে পুরো ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। তবে বিদ্যুতের দামে ছাড় ও কর–সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে বিদ্যুতের বিল পরিশোধে বিলম্ব হলে, ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। পরবর্তীতে ১ নভেম্বর, ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশও বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামানোর অনুরোধ করেছিল, যা আদানি মেনে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রীষ্ম মৌসুমের আগেই বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আদানি পাওয়ার আগামী সপ্তাহ থেকে পূর্ণ ১,৬০০ মেগাওয়াট সরবরাহ পুনরায় চালু করবে। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ারের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র একমাত্র বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালুর বিষয়ে ইতিবাচক হলেও, মূল্যছাড় ও কর-সুবিধা সংক্রান্ত অনুরোধ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। গত মঙ্গলবার বিপিডিবির সঙ্গে আদানি পাওয়ারের এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, “আদানি পাওয়ার কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১০ লাখ ডলারও নয়।”
বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, পূর্বে তিনি জানিয়েছিলেন যে, আদানির সঙ্গে এখন বড় কোনো সমস্যা নেই এবং তারা শিগগিরই পূর্ণ সরবরাহ শুরু করতে যাচ্ছে।
বিপিডিবির বিদ্যুতের মাসিক বিল পরিশোধের পরিমাণ ৮.৫ কোটি ডলার থেকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে আদানি পাওয়ার দাবি করেছে, তাদের মোট পাওনা প্রায় ৯০ কোটি ডলার, যেখানে বিপিডিবি বলছে, এই পরিমাণ ৬৫ কোটি ডলার। বিদ্যুতের শুল্ক নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতাই এই পার্থক্যের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে বিপিডিবি আদানি পাওয়ারের কাছে কয়েক লাখ ডলারের কর-সুবিধা এবং ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত বিদ্যমান ছাড় পুনর্বহালের অনুরোধ করেছিল। তবে আদানি পাওয়ার এই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছে।
আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় পূর্ণমাত্রায় চালু হলেও, মূল্যছাড় না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশকে তুলনামূলকভাবে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। এতে বিদ্যুতের ব্যয় বাড়বে এবং সামগ্রিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।