
প্রিন্ট: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
জুলাই বিপ্লব বইমেলায় নতুন তাৎপর্য নিয়ে এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম

বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই বিপ্লব এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতির ঘাড়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। আমাদের সাহসী তরুণদের এই অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। যাদের মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত অভ্যুত্থান এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, একুশ আমাদের মূল সত্তার পরিচয়, একুশে মানে জেগে ওঠা, একুশ আমাদের দৃঢ় বন্ধন। একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। যার উদাহরণ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাইয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে যেসব দুঃসাহসী ছাত্র-জনতা-শ্রমিক প্রাণ দিয়েছেন এবং নির্মমভাবে আহত হয়েছেন তাদের সবাইকে।
তিনি বলেন, একুশ আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক, সংগ্রামের প্রেরণা এবং নতুন দিগন্তের নির্দেশনা। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং তার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা যেভাবে রাস্তায় নেমে দুঃস্বপ্নের বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার জন্য লড়াই করেছে, তা ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তরুণ প্রজন্মের সাহস ও প্রতিশ্রুতি এখন দেশের প্রত্যেকটি দেয়ালে আঁকা চিত্রকর্মের মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে, যা আমাদের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত।
ড. ইউনূস বইমেলার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সেরা লেখকদের স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব দেন এবং বলেন, একুশের চেতনাকে বিস্তৃত করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তরুণ উদ্যোক্তা, গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রবাসীদেরও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।