কোটাবিরোধী আন্দোলন
সাড়ে ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
সাড়ে ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু
প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পরে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে এক দফা দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে সকাল থেকে কারওয়ান বাজারে রেলপথ ব্লক করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীরা। তবে বিকেল ৫ টা ২৫ মিনিটে ব্লকেড তুল নেবায় রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন।
ভোরের কাগজকে তিনি জানান, দুপুর ১২টা থেকে কাওরান বাজারে গাছের গুড়ি ফেলে শিক্ষার্থীরা ট্রেন লাইন অবরোধ করে। সে জন্য সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী কমলাপুরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীরা। তবে বিকেল ৫ টা ২৫ মিনিটে অবরোধ উঠে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ব্লকেডের কারণে প্রায় ৯-১০ টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে অবস্থান করে এবং কমলাপুরে ট্রেন ছাড়তে বিলম্বের কারণে যাত্রীরা প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েন। তবে ৫টা ২৫ মিনিট নাগাদ মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়, পর পর অগ্নিবীণা, বনলতা, কালনী প্রর্ভাতি ট্রেন ছাড়বে বলে জানান তিনি।
কমলাপুর রেলস্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোরদৌস বলেন, এর আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাওরানবাজার রেলগেট ও মহাখালী রেলক্রসিংয়ে কাঠের গুঁড়ি ফেলে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার পর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইনে কাঠ ফেলে অবরোধ করে রেখেছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত এখানে চলে এসেছি, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
ওসি বলেন, রেললাইন অবরুদ্ধ থাকায় ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে সাড়ে ৫ টা নাগাদ সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন ট্রেন চলাচল করছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রেললাইন অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলেও জানান তারা।