কোটাবিরোধী আন্দোলন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
কোটা বাতিল করে পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সোয়া ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, আমাদের দাবি হলো সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে। আজ হাইকোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি। রায় যদি আমাদের পক্ষে আসে তাহলে আমরা অবরোধ তুলে নেব। অন্যথায় আমরা আমাদের অবরোধ সন্ধ্যা পর্যন্ত চালিয়ে যাব।
এর আগে চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ একই দাবিতে গত সোমবার সোয়া চার ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ওই দিন চলমান চার দফা দাবিকে এক দফা দাবিতে নামিয়ে এনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতারা। এক দফা দাবিতে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার আধাঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।